তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদ: এক দশক পরাশ্রয়ে সেবা, ভোগান্তিতে জনগণ  

fec-image

২০১১ সালে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার  মানিকছড়ি ও বাটনাতলী ইউনিয়ন ভেঙ্গে  যোগ্যাছোলা ও  তিনটহরী ইউনিয়ন ঘোষণার এক দশক সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো নিজস্ব ভবনে সেবা কার্যক্রম করার সৌভাগ্য হয়নি! ফলে  তথ্যসেবা  কেন্দ্রের  ছোট  দু’টি কক্ষে যাবতীয় কাজ সারতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে জনপ্রতিনিধিরা। আর ঝড়-বৃষ্টি ও রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে সেবা নিচ্ছে গ্রহীতারা!

উপজেলার ৪নং তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ পার্বত্যনিউজকে জানান, ২০১১ সালে ১নং মানিকছড়ি ও ২নং বাটনাতলী ইউনিয়ন এলাকা ভেঙ্গে ৩নং যোগ্যাছোলা ও ৪নং তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদ সৃষ্টি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ফলে নতুন ইউনিয়নভুক্ত জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয়। ৪৯.৮২ বর্গ কিলোমিটার আয়তন ও প্রায় ১৮হাজার (বর্তমান) জনসংখ্যা বিশিষ্ট ৪নং তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠার  এক দশক ধরে তথ্য সেবা কেন্দ্রের টিনসেট দু’টি কক্ষে জনসেবা, সাল্লিস, বিচার, রেশন বিতরণ, গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সকল ধরণের জনসেবা দিতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় (আমাদের) জনপ্রতিনিধিদের! ঝড়-বৃষ্টি ও রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিরুপায় হয়ে সেবা নিচ্ছে গ্রহীতারাও!  ২০৮নং মানিকছড়ি মৌজার ১৩৫৩ খতিয়ানের ৫৫২৩ নং দাগের(আংশিক) অধীনে তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদের নামে .৫০ একর ভূমি রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। যার ফলে গত ২৯ জুলাই-২০২০ তারিখে ওই ভূমিতে পরিষদ কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণের স্থান নির্বাচনের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

এই প্রশাসনিক অনুমোদনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো মেঘলা আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি! এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মো. আবদুল খালেক  বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণে স্থান নির্বাচনে প্রশাসনিক অনুমোদনের পর আমরা ভবণ নির্মাণে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) তামান্না মাহমুদ ইউপি’র নিজস্ব ভবণ না থাকায় জনসেবায় জনদূর্ভোগের বিষয়ে বলেন, ভবণ নির্মাণের প্রথম শর্ত নিজস্ব ভূমি । পরিষদের নামে .৫০ একর ৩য় শ্রেণীর ভূমি রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। ফলে এখন শুধু ভবণ নির্মাণে বরাদ্দ অনুমোদনের অপেক্ষা। এ নিয়ে কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন  বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে উপজেলার দুইটি ইউনিয়ন ভেঙ্গে  চারটি করা হয়েছে।  তৃণমূলে  জনসেবা ও উন্নয়ন সম্প্রসারিত করাই সরকারের লক্ষ্য।  ইউপি’র নিজস্ব ভবণ না থাকায় জনদূর্ভোগ  চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে  ভবন নির্মাণে এলজিইডি প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আশা করছি  আগামী  অর্থবছরেই আগেই  নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন