parbattanews

তিন পার্বত্য জেলার পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পে তিন ব্যাটালিয়ন আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যে বাহিনী প্রয়োজন সে বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে র‌্যাবসহ আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন আমাদের পুলিশ অনেক সক্ষম পুলিশ এখন যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।
২৫ মে বুধবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে তিন পার্বত্য জেলার আইন শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা), খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, খাগড়াছড়ি জেলার সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, ডিজিএফআই প্রধান মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, এনএসআইআই এর মহাপরিচালক টিএম জোবায়ের, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ মামুন,  তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসকগণসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরো বলেন, পাহাড়ে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আমি ২ বছর আগে রাঙ্গামাটিতে এসে হেডম্যান, কার্বারী, জনপ্রতিনিধি ও তিন পার্বত্য জেলার সার্কেল প্রধান উনাদের নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। তাদের একটা অনুরোধ ছিলো, এই এলাকার শান্তির জন্য, তারা নানান ধরণের সাজেশন দিয়েছিলেন।
তাদের ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা বলছিলেন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী এবং দল উপদলের মারামারি কথা বলছিলেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সেনাবাহিনী যেখানে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছেন, তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে এবং জনসংহতি সমিতির সাথে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিলো, সেই চুক্তিকে সামনে রেখে এবং চুক্তির একটি শর্ত ছিলো সেনাবাহিনীর যে পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলো সেখানে পুলিশ মোতায়েন করার, আমরা পুলিশ দ্বারা প্রতিস্থাপন করব যাতে এই এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকে।
আমরা সেটাকে লক্ষ্যে রেখে ধীরে ধীরে তিন জেলায় পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করতে যাচ্ছি। লক্ষ্য একটাই আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং শান্তির সুবাতাস যেন বয়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা এও জানেন আমরা জলদুস্য ও চরমপন্থী মুক্ত করেছি, সেই জায়গায় এখানেও আমরা শান্তি শৃঙ্খলা সবার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা আজকে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, তিন জেলায় তিনটি আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন আসবে, যার সদর দপ্তর হবে রাঙ্গামাটি। এই তিন ব্যাটালিয়নের পুলিশ সদস্যরা ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। আপাতত আমরা ৩০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  প্রথমধাপে তিনটি ক্যাম্প বসানো হবে, কাল(আজ) আমরা এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করব।
তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন, ভুমি কমিশন কার্যকরসহ বিভিন্ন কথা বলেছেন আমরা সব নোট করে নিয়েছি। সবকিছু ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে এটা আমরা তার সাথে আলোচনা করে নিয়েছি।
তবে সভার বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় ওরফে সন্তু লারমা। সভায় তিন পার্বত্য জেলার আইন শৃংখলা বিষয়ক বিশেষ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃংখলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Exit mobile version