parbattanews

তিন পার্বত্য জেলায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম

আন্তর্জাতিক কমিটি রেড ক্রস (আইসিআরসি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে পার্বত্য জেলাগুলোর তিনটি সদর হাসপাতাল এবং ২২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৩১ টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যে সব রোগীরা প্রতিনিয়ত সেবা নিতে আসছে তারা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছে বলে জানান সংস্থাটি।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে এ প্রকল্পের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইসিআরসি বাংলাদেশের ওয়াটার এন্ড হ্যাবিট্যাট কোঅর্ডিনেটর মাসিমো রুশো বলেন: “২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া এই সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লক্ষ্য হল মানবসম্পদ ও বৈষয়িক অনুদানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)-র উপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ, জীবাণুনাশক সরঞ্জাম এবং প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কারিগরি সহায়তা আমরা দিচ্ছি।  এর লক্ষ্য হচ্ছে সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মিলে সকল জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা, যেন তারা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারে।”

সংস্খাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর বাস্তবতাকে মাথায় রেখে প্রকল্পটির বহুমুখী কৌশলের মাধ্যমে বিডিআরসিএস স্বেচ্ছাসেবীদেরকে দূরবর্তী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যারা পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে কর্মরত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়াও, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) এবং যথাপোযুক্ত জীবাণুনাশক উপকরণ এবং সরঞ্জাম নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ৩১টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের প্রায় ১৩০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সার্বিক (ব্যক্তিগত সুরক্ষা, পরিষ্কার এবং নির্বীজন পদ্ধতি) প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে এই স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ী পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে এবং বিডিআরসিএসের স্বেচ্ছাসেবীরা কার্যক্রমটির পর্যবেক্ষনের কাজে যুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, এই কর্মসূচির আওতায় সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতাধীন অনুদানের অংশ হিসাবে ক্লোরিন, গ্লোভস, ফেস শিল্ড, প্রতিরক্ষামূলক পরিধের, গাম বুট এবং মাস্ক ইত্যাদি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

Exit mobile version