parbattanews

ঘুরে আসুন কৃষ্ণচুড়া, রাঁধাচুড়া, শিমুল জারুলের বনপল্লব তিন পার্বত্য জেলায়

10277933_621414174621788_4955853449765888724_n

মো. আল আমিনঃ
কাগজে-কলমে বসন্ত ঋতুরাজ হলেও মূলত পুষ্প উত্‍সবের ঋতু গ্রীষ্মকালকেও বলা যায়। এ মৌসুমে গাছে গাছে বাহারী রঙের যে উম্মাদনা, তা অন্য ঋতুতে প্রায় অনুপস্থিত। সত্যি, গ্রীষ্মের পুষ্পবীথির রং এতই আবেদনময়ী যে চোখ ফেরানো যায় না। পুষ্পরাজ্যের কোন অংশে কম নেই পাহাড়ী জনপদ তিন পার্বত্য জেলাতে। গ্রীষ্মের পুষ্মতালিকায় প্রথম স্থান কৃষ্ণচূডার। ফুলটির রং এতই তীব্র যে অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে, হঠাত্‍ দূর থেকে মনে হবে কৃষ্ণচূড়া গাছে যে আগুন লেগেছে।

সমকক্ষ এমন দূরভেদী আরেকটি ফুল শিমুল। কিন্তু কৃষ্ণচূড়া সে তুলনায় আরও বেশী আকর্ষণীয়। পত্রহীন ডালপালা জুড়ে ফুলের অবারিত উচ্ছ্বাস বিশাল এক পুষ্ণস্তবকের মতো পাহাড়ী জনপদ। চাইলে একবার ঘুরে যেতে পারেন এই পাহাড়ী জনপদ থেকে।

যদিওবা সারাদেশে ফুটেছে, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, জারুল ফুল ইত্যাদি। তবে যাদের কখনো আসা হয় এই পার্বত্য এলাকায়, তাদের ভাল না লেগে পারবে না। সরজমিনে, খাগড়াছড়ি সদরসহ দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, রাঙ্গামাটি সদর সহ মানিকছড়ি ও কাপ্তাইয়ে কিছু অংশে দেখা মিলবে কৃষ্ণচূড়া শোভিত নির্মল পরিবেশে। মাঝে মাঝে মনে হবে কৃষ্ণচূড়া গাছে যেন আগুন লেগেছে। কৃষ্ণচূড়ার সুদৃশ্য দীর্ঘ বীথি দেখা যায় রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি শহরে। আবার বান্দরবান জেলা সদরের প্রবেশপথ,বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের হলুদিয়া থেকে জেলা শহর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে এখন শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া এবং জারুল’সহ হরেক রকমের ফুল। ওইসব ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে দূর থেকে দূরান্তে। বেড়াতে আসা পর্যটকরাও ফুলে ফুলে সাজানো বান্দরবান সহ আরো দু’ জেলা  দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন।

Exit mobile version