ভাসানচরে তিন রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম

fec-image

গত ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই ধাপে মোট তিন হাজার ৪৪৬জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে থেকে ছিল ৩০৬ জন রোহিঙ্গা। এদের সঙ্গে যোগ হয়েছে তিন জন নতুন অতিথি, যারা সম্প্রতি ভাসানচরে ভূমিষ্ট হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এই তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখন তিন হাজার ৭৫২ জন রোহিঙ্গা সেখানে আছে। এছাড়া গত ৪ ডিসেম্বর সেখানে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে তিনটি বাচ্চা ভূমিষ্ট হয়েছে। সুতরাং বলা যায় এটি কোনও ভয়ঙ্কর দ্বীপ নয় বা সেরকম ভীতির কিছু নেই। সেখানে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থানকারী এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে জাহাজে করে ভাসানচরে পাঠানো হয়। পরে ২৯ ডিসেম্বর পাঠানো হয় আরও এক হাজার ৮০৪ জনকে।

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আবাসন

কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কিছু বিদেশি সংস্থা এখনও কিছুটা সংশয় বা বিভ্রান্তিকর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের এই অবস্থানের বিরোধিতা করছি। সেখানে যথেষ্ঠ উঁচু বাঁধ আছে। এটি যে কার্যকর সেটি আমরা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময়ে দেখেছি। সেখানে হাসপাতাল ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন আছে এবং কিছু এনজিও হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।’

জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ সবসময় যোগাযোগ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের কিছু মতামত এবং নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা আছে। তারাও অংশীদার দেশগুলো নিয়েই কাজ করে, তাদের অর্থায়নও আসে ওইসব দেশ থেকে। সুতরাং এটি একটি বিরাট এন্টারপ্রাইজ। তারা দেখতে চায় যারা গেলো তারা কেমন আছে, তাদের কোনও সমস্যা আছে কিনা।’

ভাসানচরে বিদেশি প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা একটি স্থানীয় মিশন পাঠাবে এবং আমরা কথা বলছি সেটা কখন হলে ভালো হয়। দ্বিতীয়ত একটি টেকনিক্যাল মিশন পাঠানোর কথা। সে বিষয়ে তারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ভাসানচর, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন