parbattanews

তীব্র শীতে বৃদ্ধি পেয়েছে রোগীর সংখ্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
শৈত্য প্রবাহ ও কনকনে ঠান্ডায় কক্সবাজার জেলায় ঠান্ডাজণিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় গেল ১০ দিনে অন্তত ২ হাজার রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৮০ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রচন্ড শীতের কারণে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও এলাকায় সকাল ৯/১০ টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না।

কনকনে শীতে মানুষ জবুথবু হয়ে হয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তাঘাটে মানুষের দেখা মিলছে না। প্রচন্ড শীতে সাধারণ মানুষেরা বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা বেশি কষ্ট পাচ্ছে। সর্দি, কাশি, জ্বরসহ শিশু এবং বয়স্করা বেশি অসুস্থতায় ভুগছেন। ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগীদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ছাড়াও জেলা ও শহরের বেসরকারী ক্লিনিক গুলোতে ভর্তি করানো হচ্ছে। জেলার নিম্নবিত্ত পরিবারের রোগীরা বেশি টাকা খরচ করতে না পারায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে এবং অভিভাবক ও চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিকে ডাক্তার না থাকায় সদর হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছিলেন। এতে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮ জন শিশুই ছিল ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত। ডায়রিয়া রোগী ছিল ২০ জন। রোগীদের বেশিরভাগই ১ মাস থেকে ৮ বছরের শিশু। দিন দিন বেড়েই চলছে শিশু রোগীর সংখ্যা। তবে মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধদের এ রোগের প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও তারা সাধারণ ভাবে চিকিৎসা করে হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে ভর্তি চান না। নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের সচেতনতা ও সাধারণ ভাবে চিকিৎসা দিতে না পারার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করায় বেশি।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রচন্ড শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জণিত কারণে এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শিশুদের সব সময় গরম পরিবেশে রাখতে হবে। ডায়রিয়া প্রতিরোধের জন্য সব সময় গরম খাবার খেতে হবে। কোনো সময় ঠান্ডা বা পচা বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।

Exit mobile version