parbattanews

তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া নিবন্ধিত ৫৫ পরিবার নিয়ে বিপাকে

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুতে আশ্রয় নেয়া অনিবন্ধিত ৫৫ রোহিঙ্গা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেদক দেখেন ৫৫ রোহিঙ্গা পরিবার নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বিপাকে পড়েছেন । যাদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার ইউএনএইচসিআর কতৃপক্ষ, শরনার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কার্যালয়,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় ও ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ।

এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তিনি খুবই উদ্বিগ্ন এ রোহিঙ্গাদের নিয়ে। কেননা অনিবন্ধিত এই ৫৫ রোহিঙ্গা পরিবারে প্রায় ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। যারা তার এলাকায় অবস্থান করছেন বর্তমানে । তারা আশপাশের গ্রামে মিশে যেতে পারে এ কারণে তিনি চিন্তিত । এছাড়া এ রোহিঙ্গারা খাদ্য সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত । তাই এসব কারণে তারা পালাতে পারে আশপাশের পাহাড়ি জনপদে বা লোকালয়ে।

তিনি আরও জানান, এর আগেও ২ দফা অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশী সোসাইটিতে মিশে গেছে। সর্বশেষ মিশে যায় ৫৯৯ জন রোহিঙ্গা। যাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও । গত ১৮ জানুয়ারি শূন্যরেখা থেকে সোয়া ৬ হাজার রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নিলেও মাত্র ১০ দিন পর গণনা করে পাওয়া যায় ২ হাজার ৯৮৬ জন রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামে রয়েছে। যার মধ্যে মঙ্গলবারের পর ৫৯৯ রোহিঙ্গার হদিস মিলেনি।যারা নিবন্ধিত ছিলো। পক্ষান্তরে তাবু গেথেঁ ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত অবস্থায় এখনও তুমব্রুতে রয়েছে। সব মিলে তিনি চিন্তিত বর্তমান তুমব্রুতে থাকা এ ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গা নিয়ে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩ শত ৮৭ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনেন তারা। এর পর বাকী থাকার কথা ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার। অথচ সেখানে তাদের খোঁজ নেই ।

তিনি সংশ্লিষ্টদের মঙ্গলবার বিকালে অবহিত করেছেন । বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ এ ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গা বিষয়ে এখন কোন সিদ্ধান্ত পান নি ।

এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মাকে ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার মিয়ানমারের নাগরিক তুমব্রুতে অবস্থান করার বিষয়টি মঙ্গলবার ঊর্ধ্বতন অফিসারকে জানিয়েছেন। ওনারা সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবেন আজ-কালের মধ্যেই। তবে বুধবার বিকাল পর্যন্ত তিনি কোন নির্দেশ পাননি বলে জানান।

Exit mobile version