parbattanews

তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনে সাড়ে ৯শ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচর পাঠাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে তৃতীয় দফার দ্বিতীয়দিনে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ১৮ টি বাস ছেড়েছে; এতে অন্তত সাড়ে ৯ শত জন রোহিঙ্গা রয়েছে।

২৯ জানুয়ারি (শুক্রবার( দুপুর পৌণে ১টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস রওনা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় মুদির দোকানী আবুল কালাম। তবে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এসব বাসে কি পরিমান রোহিঙ্গা রয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।

কিন্তু তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যাপারে বরাবরের মত এবারও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এসব বাসে অন্তত সাড়ে ৯ শত জন রোহিঙ্গা রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।

তৃতীয় দফার প্রথমদিন বৃহস্পতিবার এক হাজার ৭৮০ জন রোহিঙ্গাকে ৩৮টি বাসে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন এবং গত ২৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য বুধবার রাতেই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় বেশ কয়েকটি বাস।

স্থানীয় মুদির দোকানী আবুল কালাম বলেন, শুক্রবার পৌণে ১টায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী ১৮টি বাস ছেড়ে যেতে দেখেছেন।

উখিয়ার স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক জানান, শুক্রবার  অন্তত সাড়ে ৯ শত রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৮টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে অন্তত আরো ৮/১০টি বাস রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় এ সাংবাদিক বলেন, “ নানা সূত্রে তথ্য পেয়েছি, তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ২ হাজার ২২৪ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৭৮০ জনকে বাস যোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার পাঠানো হয়েছে সাড়ে ৯ শত জন রোহিঙ্গাকে। ”

ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যে জানান, তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী অন্তত দুই সহস্রাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে দেড়-সহস্রাধিককে বৃহস্পতিবারই বাস যোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃৃৃৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনে সাড়ে ৯শত জনকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েেেছ।

শুক্রবার স্বেচ্ছায় যেতে যেসব রোহিঙ্গা নাম নিবন্ধন করবে তাদেরও চট্টগ্রাম পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্য়ালয়ের ওই কর্মকর্তা।

Exit mobile version