parbattanews

থমথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প: মুখোমুখি আল-ইয়াকিন দু’গ্রুপ

থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। গত ৬ দিনে একের পর এক ঘটনায় ক্যাম্পে এমন ভীতিকর পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে। এই কারনে অনেকে জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে শুরু করেছে রোহিঙ্গাদের অনেকেই। তবে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শান্ত বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

জানাগেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষে ১২জন আহত হয়েছে। এঘটনার পর থেকে ক্যাম্প এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা।

রোববার(৩০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ও আন-রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

এর আগে শনিবার নুর আলম নামে এক রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে কক্সবাজার পরে চট্টগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সে কুতুপালং টু-ইস্ট ক্যাম্পের আহমদ হোসেনের ছেলে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, আল ইয়াকিনের শীর্ষ নেতা মুন্না গ্রুপ গত তিন দিনে ১০জন রোহিঙ্গাকে অপহরণ করেছে। তৎমধ্যে মুক্তিপণ দিয়ে রোববার সকালে ফিরে এসেছে ৬জন। এরা হলো কুতুপালং রেজি: ক্যাম্পের বি ব্লকের রহমত উল্লাহ, ডি ব্লকের মৌলভী জিয়াবুর রহমান, ছৈয়দ আকবর, এফ ব্লকের আনিস উল্লাহ ও এজাহার, জি ব্লকের মো. জসিম। বাকী ৪জন এখনো তাদের হাতে জিম্মিদশায় রয়েছে।

মো. আমির নামে এক রোহিঙ্গা জানান, গত ৬ দিন ধরে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের ই-ব্লকের মোহাম্মদ ফরিদ ও এফ ব্লকের নুর হাশিম, মাস্টার মুন্না এবং আন-রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের আল-ইয়াকিন নেতা রফিক উদ্দিন, হাফেজ জাবেদ ও সাইফুলের মধ্যে অন্ত:কোন্দল শুরু হয়। এরপর থেকে ক্যাম্পের পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠে।

এ প্রসঙ্গে কুতুপালং রেজি: ক্যাম্পে নিয়োজিত এপিবিএন এর পরিদর্শক মো: সালেহ আহমদ পাটান বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। এটিও তাই। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রয়েছে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version