থাইল্যান্ডের ছোঁয়া মেরিনড্রাইভে, পর্যটনে নতুনমাত্রা

fec-image

প্রশান্তির আশায় সাজানো হয় যেকোনো ভ্রমণবিলাসী পর্যটকের পরিকল্পনা, যেখানে মিলবে জাগতিক ব্যস্ততা দূরে রেখে মানসিক তৃপ্তি।

পর্যটন সমৃদ্ধ দেশগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয় পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যে এবং সেভাবেই তৈরি করা হয় অবকাশকেন্দ্রের পরিবেশ।

দেশের পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার, দীর্ঘতম সৈকত ঘিরে যেখানে ভিড় করে লাখো ভ্রমণ পিয়াসু। নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও যুগের সাথে এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ হচ্ছে দিন দিন বিকশিত।

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ থাইল্যান্ডের ফুকেটে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখো মানুষ ঘুরতে এসে মুগ্ধতা পায় সৈকত লাগোয়া রিসোর্ট-বিচ ভিলাতে অবস্থান করে।

সমুদ্র ঘেঁষা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সড়ক হলো কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ। এ সড়কের পাশে উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের ইনানীতে গড়ে উঠা দি ওয়েভ রিসোর্ট যেনো ফুকেটের কোনো নান্দনিক রিসোর্টের প্রতিচ্ছবি।

১ দশমিক ২৫ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠা রিসোর্টটি সামনে রয়েছে চোখ জুড়ানো বালুকাবেলা, সম্মুখে তিন তলার নয়নাভিরাম অভ্যর্থনা ভবন পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে সারি সারি ছোট ঘর।

এই ঘরগুলো একেকটি ভিলা, যেগুলোতে রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। এছাড়াও পরিবার নিয়ে একসাথে রাত্রিযাপনে রয়েছে বিশেষ স্যুইট ভিলা।

অতিথিদের রুচিসম্মত খাবার সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলা খাবার ও সামুদ্রিক খাবার (সিফুড এন্ড বিবিকিউ) পরিবেশনে দুটি ভিন্ন রেস্টুরেন্ট কম্পোনেন্ট রাখা হয়েছে বিলাসবহুল এই রিসোর্টে।

কনফারেন্স রুমের পরিসরটাও আধুনিকতায় মোড়ানো, করপোরেট সহ যেকোনো সভা এখানে অনায়াসে করা যাবে বিদ্যমান সব প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবায়।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন সুমন। কথা বলে বোঝা গেলো রিসোর্টের পরিবেশ তাঁর ভ্রমণকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।

তিনি বলেন, ” অতীতে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমার থাইল্যান্ড যাওয়া হয়েছে। দেশেও যে সেখানকার মতো নান্দনিকতা আরো সুন্দরভাবে পরিবার সহ উপভোগ করতে পারবো, সেটি দি ওয়েভে না এলে বুঝতে পারতাম না।”

থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ৪৩ জনের দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা (মেজর) তানভীর মাহমুদ।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা স্বপ্নবিলাসী এই পর্যটন উদ্যোক্তার প্রত্যাশা অচিরেই সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত সেবার প্রত্যয়ে পথচলা তার এই প্রতিষ্ঠান পাবে জনপ্রিয়তা।

তানভীর বলেন, “পর্যটকদের সুন্দর সময় কাটানোর পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে রিসোর্টটি গড়ে তুলেছি। একজন পর্যটক চান তার ভ্রমণকালীন মুহূর্তগুলো হবে নিজের মতো, আশা করি যে কেউ এখানে আসলে সে ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।”

ইকো সিস্টেম, ভৌগোলিক অবস্থান সহ নানা বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এই রিসোর্ট পূর্ণতা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, “সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের অংশীদার হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠান সবসময় পর্যটকদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিবে। সে লক্ষ্যেই আমাদের যাত্রা এবং ভবিষ্যতেও আশা করি ভালো কিছু হবে।”

চলতি বছরের ৮ এপ্রিল থেকে যাত্রা করা এই রিসোর্টে বর্তমান মৌসুমে (অফ সিজন) চলছে বিশেষ ছাড়, রুম প্রতি প্রতিদিনের ভাড়া শুরু মাত্র তিন হাজার পাঁচশত টাকা থেকে।

কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে ইনানী সৈকতের কাছেই নৌ বাহিনীর জেটি (যা সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাত্রার জন্য সিজনে ব্যবহৃত হয়) সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত দি ওয়েভ রিসোর্টে সিএনজি, টমটম,কার বা টুরিস্ট জিপ যোগে আসা যাবে অনায়াসে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন