থানচিতে কঠোর নিরাপত্তায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন

fec-image

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তায় দুই স্থানের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সেনাবাহিনীর, পুলিশ, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভিডিপি আনসার ও স্থানীয় প্রশাসন পৃথকভাবে পরিদর্শন করেছেন এবং যথাসাধ্য সহযোগিতা দিয়েছে।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন, থানচিবাসী সত্যিকারার্থে সভ্য, সুশীল। আমরা কোন বিশৃংখলা চাইনা, আমার নিজের মনের কথা বলব, কিন্তু বিশৃংখলা করে নয়। শারদীয় দর্গাপূজা এবং আগামীতে কঠিন চীবর দান, প্রবারণা সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে করতে থানচি উপজেলা সকল প্রশাসন আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে যাবে। থানচিতে তাদের আস্থা বা নিরাপত্তার কোন কমতি নেই। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সার্বজনীন উৎসব সফল করতে চান তারা।

বৃহস্পতিবার সকালের থানচি উপজেলা ঐতিহাসিক বলিবাজার হিন্দু পাড়া শ্রী শ্রী কালি মন্দির, থানচি বাজার শ্রী শ্রী কালি মন্দির প্রাঙ্গণের পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।

ষষ্টি পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা হলেও বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ সব পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

১৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাকলাইপাড়া সেনা সাবজোনের সাব-জোন অধিনায়ক মেজর মহেববুল্লাহ্ সাদী সাংবাদিকদের বলেন, এলাকায় বাঙালি-পাহাড়ি ও মুসলমান ছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু, বৌদ্ধ ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করে। সাধারণ জনগণের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরীতে ১৬ ইষ্ট বেঙ্গল সর্বদাই সচেষ্ট থাকে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখার জন্য প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অপারেশন উত্তোরণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর , ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বিভিন্ন রিজিয়নের অধীনে থেকে জোন/ ইউনিট সমূহ তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বেসামরিক প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে।

অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি সভাপতি খামলাই ম্রো, থানচি থানা পুলিশের পরিদর্শক আল আমিন, আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন