parbattanews

থানচিতে নিন্মমানে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে স্কুল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা

থানচি প্রতিনিধি:

থানচিতে ২নং তিন্দু ইউনিয়নের এক মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিন্দু গ্রোপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতল ভবন নির্মাণ কাজ পিডিবি-৩ আওতায় ঠিকাদার কর্তৃক নিন্মমানে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে স্থানীয়রা সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ বন্ধ করায় ঠিকাদার এলজিইডি কার্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী রোকন মিয়া তাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে । এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে ।

জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাধ্যমে ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ের তিন্দু গ্রোপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতল ভবন নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইউটিমং কনস্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ প্রদান করেন ।

কিন্তু ইউটিমং কনস্ট্রাকশন হতে এল জিইডি এর ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী রোকন মিয়া ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন করে নির্মাণ কাজটি হাতিয়ে নেন ।

জানুয়ারী ২০১৭ থেকে নির্মাণ কাজ চলকালীন সময়ের সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা, এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ভূঁঞা স্কুল ভবন নির্মান কাজের সাইট পরিদর্শণের সময় স্থানীয়রা তাকে জানান, রোকন মিয়ার প্রতি তাদের আস্থা নাই। তিনি সকল নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্টারা স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন আর কোন সময় এ ধরণের সমস্যা হবে না । কিন্তু গত কয়েকদিন যাবৎ ঠিকাদার রোকন মিয়া স্থানীয় সাংগু নদীতে ময়লা অর্বজনা যুক্ত বালি উঠিয়ে গত শুক্রবার থেকে ভবনের প্লাষ্টার করার কাজে ব্যবহার করছেন।

গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্কুল এসএমসি কমিটি সভাপতি উসাচিং মারমা, ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার  ক্রানিংঅং মারমা, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাইতাং খুমি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইওয়াং মারমা ও ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মেলাইন ম্রো নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

যোগাযোগ করা হলে স্কুল ভবন নির্মাণ কাজে রাজ মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত চরন ব্রমন (৩৫) জানান, আমাদের ঠিকাদার রোকন মিয়ার হাত অনেক লম্বা। তার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় এমপি প্রতিনিধিসহ অনেকে শেয়ার আছে। কাজ আজ সোমবার বন্ধ থাকলে কি হবে, কাল থেকে শুরু করবো। ঠিকাদার রোকন মিয়ার মুঠোফোনে দুই/তিনবার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

যোগাযোগ করা হলে এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ভূঁঞা জানান, আমি কর্মস্থলে উপস্থিত নাই বাহিরে আছি, এই মুহুর্তে নিন্মমানে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করার এবং সব কাজ তিনি পৌছলে শুরু করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি।

Exit mobile version