parbattanews

থানচিতে পুরোনো ইটে নতুন সীমানা প্রাচীর নির্মাণেও ময়লা অবর্জনা বালির কংক্রিট ব্যবহার

যে কাজের ঠিকাদার সে তদারকি ইঞ্জিনিয়ার একজনই তিনি যে নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে দিয়ে তা দিয়ে আমরা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছি শ্রমিকরা আর কিছু করনীয় নেই । নির্মাণ শ্রমিক ও সাইট মাঝি মোঃ সাজু (৩৪) সাংবাদিকদের উপরোক্ত কথা বললেন ।

দেশের মানুষ করোনাভাইরাস আতঙ্কের কিন্তু বান্দরবানে থানচি উপজেলা বলিপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন সংস্থা কর্তৃপক্ষ চলমান রাখা হয়েছে ।

নিন্মমানে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের হিড়িক পড়েছে পুরোনো ইট কংক্রিট ও ময়লা অবর্জনা বালির দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে দেখার কেউ নেই ।

জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যৌথ অর্থায়নের থানচি উপজেলা বলিপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর প্রায় ১ হাজার ৫ শত বর্গফুট নির্মান কাজ করেন ।

সেখানে নির্মাণ সংস্থা ঠিকাদার মোঃ আরিফ নামে এক ব্যক্তি তদারকি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারী সংস্থা মালিক ।তার নিকট হতে সম্পূর্ণ কাজের বাস্তবায়নের চুক্তিতে উপঠিকাদার হিসেবে কাজ নিয়েছেন মোঃ সাজু সাইট মাঝি (৩৪) ও অন্য ৫ জন শ্রমিক গত ২৬ দিন যাবৎ কাজ করতে দেখা যাচ্ছে ।

সরেজমিনে শনিবার (২১ মার্চ) দেখা যায় প্রায় অধিকাংশ কাজ গত ২৬ দিনে করে ফেলেছেন বলে মিস্ত্রী নূর হোসেন (৩৪) জানান দিয়েছে । তিনি বলেন ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আরিফ স্যার যেভাবে বলছে সেভাবে কাজ সম্পাদন করেছি ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বলিপাড়া বাসিন্দা ওয়ইনুমং মারমা ৩৫ বলেন, আমি এই রাস্তায় হাঁটা হাঁটি করি সব সময়, এই প্রাচীর নির্ম্মাণ কারীরা নিম্নমানের ইট ব্যবহার তো করেছেই অর্ধেক মাটিযুক্ত ঝিড়ি বালি দিয়ে সিমেন্ট মিশ্রণ করে কাজ হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে গতকাল সকালে প্রাচীর কিছু অংশ ধ্বসে পড়েও গেছে আমরা বললেও আমলে আনা হয়না।

স্থানীয় বাসিন্দা নেপাল কর্মকার বলেন, মিস্ত্রিরা ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষমতা আমাদের বর্ণনা করে শুনানো হয়েছে। এই রাস্তায় আমি দিনে অতন্ত ২/৩ বার হাঁটা চলা করি, প্রাচীর নির্ম্মাণের নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার আমি নিজের চোখে অনিয়ম হওয়া দেখেছি। দেখার সাথে সাথে এই কেন্দ্রে ডাক্তার কেও জানিয়েছি ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ডাঃ মিথোয়াইচিং মারমা জানান, এ বিষয়ে গত ১৮ মার্চ উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। আমার অভিযোগটি পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আমাকে লিখিত নাহলেও মৌখিক ভাবে আশাস দিয়েছেন যে, কেন্দ্রের সামনে প্রাচীর সবগুলো ও দক্ষিণ সাইডে কিছু অংশ ভেঁঙ্গে আবার নতুন ইট ও ঝংকার বালি দিয়ে নির্মান করে দেওয়া হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনাদির রজ্ঞন বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, সীমানা নির্ধারণের জন্য আমি গত ১০ বছর দরে সংশ্লিষ্ট উর্ধতম কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এখন ও সীমানা নির্ধারন হয় নি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে পরিমান জমি রয়েছে তা উদ্ধার করার জরুরী ।

ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা বেদখল করে রেখেছে । সীমানা নির্মাণ কাজের নির্মাণ শ্রমিকরা আমার সামনে পুরোনো ইট, রড সিমেন্ট, মাটি মিশ্রিত বালির, পানির কিউরিং ব্যবস্থা নেই যা ইচ্ছেই তা করছে আমি বাস্তবায়ন কাজের অসন্তোষজনক।

যোগাযোগ করা হলে তদারকি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার সংস্থা মোঃ আরিফ বলেন, আমি কিছু জানিনা আমার উর্ধতম কর্তৃপক্ষ জানেন আমি সামান্য চাকুরী করি । তাহাদের নির্দেশে আমি করতে বাধ্য । আমার উর্ধতম কর্তৃপক্ষ সাথে যোগযোগ করুন বলে মুঠোফোন কেটে দেন ।

Exit mobile version