parbattanews

থানচিতে ফিরে আসা বম পরিবারের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান

বান্দরবানে থানচি সদর ইউনিয়নের স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসার প্রাতা পাড়ার অসহায় বম পরিবারকে এক বেলা সু-স্বাধু ভোজন, আলোর জন্য ব্যাটারি, ক্যাবল, লাইটসহ সোলার প্যানেল, বিশুদ্ধ পানির ট্যাঙ্কি, শীত বস্ত্র কম্বলসহ অসুস্থদের বিনামূল্যে ঔষধ, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা প্রদান করেন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রাতা পাড়া পার্শ্ববর্তী বাকলাই সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সালমান মেহেদি অংকন ক্যাম্পের আবাসিক চিকিৎসক এর আয়োজনের দি ম্যাজেস্টিক টাইগার্স পরিচালনা করেন।

বিনামূল্যে ঔষধসহ ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প শুভ উদ্ভোধন করেন প্রধান অতিথি ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের আলিকদম সেনা জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মহেববুল্লাহ্ সাদী।

চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পের পাশাপাশি প্রাতা পাড়া অসহায় ১২টি বম পরিবারকে ২টি করে মোট ২৪টি কম্বল, সকল পরিবারের সম্মিলিত ব্যবহারের জন্য এক হাজার লিটারে পানির ট্যাংঙ্কি একটি, ১৬০ ওয়ার্ডে সোলার প্যানেল ১টি, ১৬০ এ্যামপিয়ার ব্যাটারি ১টি, ১০ টি বাল্ব (লাইট), প্রয়োজনীয় সুইচসহ ২ কয়েল ক্যাবল, ফাইন ৪টা হত দরিদ্র ১২ বম পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও প্রাতা পাড়া ৫১ জনকে এক বেলা সু-স্বাধু মধ্যহৃ ভোজন করানো হয়। বাকলাই বম পাড়া ও প্রাতা পাড়া দুই গ্রামের ২৯ পরিবারের ১২৭ জন সদস্যকে বিনামূল্যে ঔষধ, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

এ সময় তত্ত্বাবধান করেন বাকলাই সেনা ক্যাম্পের উপ- অধিনয়ক সুবেদার ও সিনিয়র কর্মকর্তা আরিফ হোসেনসহ সেনা ক্যাম্পে ১০-১২ জন চৌকস অফিসার।

বিনামূল্যে ঔষধ চিকিৎসা সেবা প্রদান কালের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেজর মেহববুল্লাহ্ সাদী সাংবাদিকদের বলেন, সবার উপরে দেশ ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টেরসহ দেশের সেনা বাহিনীর অসহায়, হত দরিদ্র, অবহেলিত, বঞ্চিত, নিপিরিত মানুষের কল্যাণের কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতা এলাকার শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখা সেনাবাহিনীদের সাথে এলাকার সকল জনসাধারণ ও দাযিত্ব ও কর্তব্য সাথে এই অসহায় মানুষের সেনাবাহিনীর ছাড়াও সমাজের সকল পর্যায়ের বৃত্তবান ব্যক্তিদের যে যেভাবে সমর্থন অনুযায়ী বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।

সেনা বাহিনীর চিকিৎসা ক্যাম্পে হাজির হয়ে প্রাতা পাড়া বাসিন্দা ছানত্লিন বম (৫০), বাকলাই পাড়া বাসিন্দা রোলরেম বম ৫৩ সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ নভেম্বর আমরা নিজ নিজ ঘরের ফিরেছি। আমরা এলাকার শান্তি চায় আর অশান্তি চায়না। সুতারাং আমরা এখন ও আতঙ্কে আছি কারণ আগামী ডিসেম্বর মাঝামাঝি সময়ের কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কমিটি সাথে বৈঠক বসবেন। সেই বৈঠকের যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কমিটির প্রস্তাবের রাজি হয়ে ঘরের দামাল ছেলেরা ঘরে ফিরে আসুক সে কামনায় আমরা মহান সৃষ্টি কর্তা বা ঈশ্বরের কাছে সর্বদায় প্রার্থনা করছি। আমাদের আকুতি ঈশ্বর অবশ্যই শুনবেন আশা করেন তারা।

Exit mobile version