parbattanews

থানচিতে বিরল প্রজাতির শকুন অবমুক্ত

বান্দরবানের থানচি রেঞ্জের (বন বিভাগের) তত্ত্বাবধানের দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা পর বিরল প্রজাতি শকুনকে পর্যটন এলাকার তমাতুঙ্গি’র গভীর বনে অবমুক্ত করল প্রশাসন। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় শকুনটি অবমুক্ত করা হয়।

বন বিভাগের থানচি রেঞ্জের কর্মকর্তা তৌহিদুল রহমান টগর জানান, গত ১০ ডিসেম্বর দুর্গম মিয়ানমার সীমান্তে বড় মদক এলাকার রেমাক্রী ইউপি সাবেক মেম্বার লালপিয়াম বম অসুস্থ অবস্থা বনে পড়ে থাকা বিরল প্রজাতির সাথি হাড়া অসুস্থ শকুনকে উদ্ধার করে থানচি থানা সোপর্দ করে। একই দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বন বিভাগের নিকট শকুনটি হস্তান্তর করেন।

পরে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানের থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সু-চিকিৎসা এবং শকুনের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী খাওয়ানো হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) শকুনটি সম্পূর্ণ সুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুনকে অবহিত করেন। বন বিভাগ ও প্রশাসন যৌথ সিদ্ধান্তে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‌‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ সুতারাং আজ থেকে এ শকুনটিকে গভীর বনাঞ্চলের অবমুক্ত করে মুক্ত করা হয়েছে। এ বিরল প্রজাতি শকুনটি এশীয় প্রজাতির এবং বাংলা শকুন নামে পরিচিত।

শকুনের অবমুক্ত করার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, থানচি রেঞ্জের ফরেস্ট গার্ড মৃনাল কান্তি ভাওয়াল, স্পিট বোট ড্রাইভার ফরিদুল আলম, প্লান্টিশন বাগান মালিক মো. মোবারক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অর্ধ-শতাধিক পর্যটক অংশ নেন।

Exit mobile version