থানচিতে বিশ্ব ‘মা’ দিবস ও আলোচনা সভা


বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বিশ্ব ‘মা’ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ মে) সকাল দশটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের এ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক ও প্রশাসনের যৌথ আয়োজনের সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ ভূঞা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম, নারী নেত্রী নুমেপ্রু মারমা, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেম্বো ত্রিপুরা, ওসি তদন্ত মির্জা জহির উদ্দিন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাশ গুপ্ত, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ব্যবস্থাপক জমির উদ্দিনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ‘মা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম শব্দ ‘মা’। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর পরম আশ্রয়ের মানুষ ‘মা’। মায়ের পরম মমতায়, ভালোবাসায়, আদরে-যত্নে লালিত হতে থাকে ছোট্ট শিশুটি। শত বিপদ-আপদ থেকে ‘মা’ তার সন্তানকে আগলে রাখেন সবসময়। চেখের আড়াল হলেই সন্তানের জন্য মায়ের চিত্ত যেন উদগ্রীব হয়ে থাকে। সব সময় তাই একজন সন্তানের জীবনে মায়ের ঋণ কোনো কিছুর বিনিময়ে শোধ করা যায় না। আজ সেই মায়েদের দিন, বিশ্ব মা দিবস।
রোববার (১২ মে) সারা বিশ্বব্যপী পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ‘মা’ দিবস। মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হয় ‘মা’ দিবস।
১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা আনা মারিয়া জার্ভিস তার প্রয়াত মা, অ্যান রিভস জার্ভিস কে স্মরণ করে এক রবিবার তার স্কুলে ‘মা’ দিবস পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘মা’ দিবস পালন এবং এদিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেন।
তবে ‘মা’ দিবস পালনের ইতিহাস আরও পুরোনো। প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতার সময় থেকে মাকে উৎসর্গ করে একটি দিবস পালিত হতো। এছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে ষোড়শ শতাব্দীতে ‘মা’ এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানাতে একটি নির্দিষ্ট রোববারকে বেছে নেয়া হয়েছিল, যা ‘মাদারিং সানডে’ হিসেবে পরিচিত। এ দিনটি ছিল পারিবারিক পুনর্মিলনের মত।
মানুষের ভেতরে যেমন ‘মা’ এর জন্য ভালবাসা আছে, তেমনি আছে প্রকৃতির ভেতরেও, ভালবাসা আছে অন্যান্য প্রাণীদের ভেতরেও।
শুধু মানব জাতিই নয়, ধরিত্রীতে বিরাজমান প্রায় সকল প্রাণীদের মাঝেই দেখা যায় মাতৃত্বের অনন্য নিদর্শন। যা সভ্যতার মানদণ্ডের উর্ধ্বে উঠে ঘোষণা করে মাতৃত্বের বিশালতা। প্রকৃতিতে ভালোবাসার স্নিগ্ধ স্রোতধারার নাম ‘মা’।