parbattanews

থানচিতে হেডম্যানের অত্যাচারে মৌজাবাসী ক্ষুব্ধ

pranthan-pic

থানচি প্রতিনিধি:

পাড়ার প্রধান (কারবারী)দের সরকারি প্রদত্ত সম্মানি ভাতা আত্মসাৎ, অত্যাচার, জুলুম, শারীরিক নির্যাতন, অতিরিক্ত বার্ষিক জুম খাজনা আদায়, এক স্থানকে একাধিক ব্যক্তির নামে ভূমির প্রাথমিক মালিকানা দিয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদনের সুপারিশসহ নানা অপকর্ম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে বলে এক হেডম্যানের বিরুদ্ধে  আভিযোগ  পাওয়া গেছে। বান্দরবানের থানচিতে তিন্দু ইউনিয়নের তিন্দু মৌজায়  হেডম্যানের প্রেনথান খুমীর বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই।এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ওই মৌজার অধিবাসী, কারবারী, গণ্যমান্য ও জনপ্রতিনিধিরা বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।

মৌজাবাসীদের অভিযোগে জানা যায়, ৩৬৭ নং তিন্দু মৌজায় উপজাতীয় দুই সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন, মারমা আর খুমী সম্প্রদায়।  মারমার চেয়ে খুমীর জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে সেখানে একজন খুমীকে হেডম্যান হিসেবে সকলেই প্রত্যাশা করেন।কিন্তু  প্রেনথান খুমী হেডম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মৌজাবাসীরা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ইউপি মেম্বার ক্রানিংঅং মারমা জানান, এমপির প্রতিনিধি এবং মৌজাবাসীদের পক্ষ থেকে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তার বিরুদ্ধে আবেদন করার উদ্যোগ নিয়েছি। মৌজাবাসী শান্তিতে থাকলে আমরাও শান্তিতে থাকতে পারি।

ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেম্বার কাইথাং খুমী জানান, তিন্দু মৌজায় কারবারীদের সম্মানি ভাতাও হেডম্যান আত্মসাৎ করেছেন, জমি বন্দোবস্তির  আবেদনে  একটি স্থানকে একাধিক ব্যক্তির নামে সুপারিশ করে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো অভিযোগ পত্রের অনুলিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলে তা পালন করা হবে।

এ বিষয়ে  মৌজা হেডম্যান প্রেনথান খুমীর মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version