parbattanews

থানচির ঝুকিপূর্ণ সড়ক; সংস্কারের উদ্যোগ নেই

বান্দরবান জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রাধীণ থানচির সরকারি রেষ্ট হাউজের ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সেখানে সরকারি রেষ্ট হাউজের সাথে বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠেছে কয়েকটি পর্যটক মোটেল। এর অভ্যন্তরীন সড়কটি বিপজ্জনক মোড়ে পরিণত হয়েছে। সড়কে রড উঠে বড় বড় গর্ত, ময়লা ও অবর্জনার স্তুপে পরিনত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও গত ১০ বছর ধরে সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

দৈনিক শতশত পর্যটকবাহী হালকা যানবহন মোটর সাইকেল ও সাধারণ মানুষ যাতায়াতের এক মাত্র সড়ক এটি। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সড়কটি অভিবাবকহীণ হয়ে পড়ে রয়েছে।

জানা যায়, মান্দাতা আমলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) এডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে আর সি সি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই সড়ক দিয়ে সরকারি রেষ্ট হাউজ ছাড়াও থানচি কুটির পর্যটন মোটেল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কারিতাসের প্রকল্প অফিসসহ কয়েকটি এনজিও কার্যালয় ও আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত রয়েছে। সড়কে প্রতিদিন ৫ শতাধিক পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ  যাতায়াত করেন এ সড়কে।

আবাসিক এলাকায় বসবাসরত ইউপি মেম্বার জন ত্রিপুরা বলেন, রাস্তায় রড প্লাস্টার সম্পূর্ণ উঠে গেছে। বর্ষায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় কয়েকজন লোক ইতিমধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে । আমরা উপজেলা প্রশাসনকে বলার পর কয়েকটি বালির চটের বস্তা দিয়েছিল তাও পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সীমাহীণ ভোগান্তিতে চলা ফেরা করতে হচ্ছে।

থানচি কুটির মোটেলের স্বত্তাধিকারী ও মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে অফিস সহকারী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, কাঁধা মাটির সাথে পিছলে পড়ে লোহার সাথে লেগে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে অনেকে। প্রতিদিন কয়েকজন পর্যটক পা পিছলে পড়ে যায়। এই রাস্তাটির কারনেই পর্যটক খুব কম আসে । আমি এই সড়কের সংস্কারে জরুরী মনে করছি।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো বলেন, আইনশৃংখলার কাজে দ্বায়িত্ব পালনের সময় সড়কে চলতে গিয়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। জানতে চাইলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা বলেন, গেল বছরে এডিপির আওতায় প্রকল্প নিতে চাইলেও বরাদ্ধ স্বল্পতার কারনে পারিনি । উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুলকে মুঠোফোনে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version