বান্দরবানের থানচি শহরের ডেঙ্গু প্রকোপ এখন পাহাড়ে দেখা দিয়েছে। এছাড়াও অনেকে ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি, সাধারণ জ্বর আক্রান্ত হয়েছে। থানচি উপজেলা স্বাধীনতা পরবর্তীতে সর্বপ্রথম ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তে খবর পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক সৃস্টি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সু- চিকিৎসা পাওয়া হতাহত খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া, টাইফয়েট রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেককে জীবনও দিতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিনে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিহাম বলেন, আমি যোগদান করেছি ৮ মাস হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থানচি বাজারে নিবাসী মৃত আবুর তাহের মেয়ে সোহানা আক্তার (১২) প্রথমে জ্বর অবস্থায় অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়েছিল। পরীক্ষা নিরিক্ষা করে কোন প্রকার ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েট ধরা পড়েনি। পড়ে বান্দরবান থেকে কীট আনা হলে তার শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে তাকে নিবির পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ীতে ফিড়ে গেচ্ছে। গত মাসে রেমাক্রী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে মহিলা মেম্বার উমাচিং ও ডেঙ্গু আাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করে বাড়ীতে ফিড়ে গেচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কমপ্লেক্স এর বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডেঙ্গু পরীক্ষা কীট রয়েছে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুই মাসের মোট ১৮ জনের শরীরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া পেট ব্যাথা, ভাইরাস জ্বর, সর্দি কাশি রোগী সংখ্যা বেশী ভর্তি রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স উসাইমে মারমা জানান, গত সেপ্টেম্বর ১১ তারিখ হতে আজ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসের মোট ১৮ জনে শরীরে ডেঙ্গু রোগে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে হাসপাতালে বিশ্রামসহ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ হয়ে ফিড়ে গেচ্ছে। গত সপ্তাহের ডেঙ্গু রোগী অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে বান্দরবান সদর হাসপাতালে হস্তান্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ও একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘এডিস মশা কামড়ানো ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়। এ রোগটি শহরে হতো বর্তমানে থানচি উপজেলা পর্যটক অনেক তাদের নিকট থেকে এ রোগ ছড়িয়েছে বলে তিনি মনে করেন। ডেঙ্গু সনাক্ত হওয়া আমরা ব্যাপক পরিমান কীট নিয়ে রাখছি। পাহাড়ে মানুষ মশারি ব্যবহার করতো রাতে ঘুমাবার সময় কিন্তু এখন থেকে দিন-রাতে মশারি ব্যবহার জরুরি প্রয়োজন। কারণ এডিস মশা বিভিন্ন ময়লা আর্বজনা জমানো পানি থেকে জন্ম হয়ে একটু আধার হলে মানুষের কামড়ে দেয়।
তিনি আরো জানান, গত মাসের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা সিদ্ধান্তে রেজুলেশন করে আগামী ২৭ অক্টোবর উপজেলা পরিষদে মাসিক সমন্বয় সভা উপস্থাপন করবো। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সিদ্ধান্ত সমূহের এডিস মশা পাহাড়েও ছড়িয়েছে এলাকা জনসচেতনতা জন্য প্রচার প্রচারণা প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সাথে একমত হলে আগামী নভেম্বর মাস থেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাবো।