থাপ্পড়ে ছাত্রী আহতের ঘটনায় অনুতপ্ত শিক্ষক আশাদন চাকমা
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে শিক্ষকের থাপ্পড়ে ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আশাদন চাকমা অনুতপ্ত। তিনি সকলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশাদন চাকমার থাপ্পড়ে গুরুতর আহত হয়ে পানছড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয় সুজনা আক্তার (১৫) নামের এক শিক্ষার্থী।
জানা যায়, পড়ায় অমনোযোগী থাকায় এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় রাগে তাকে চড় মারলে তাঁর নাকের নাক ফুলে লেগে নাক থেকে রক্ত বের হয়ে যায়। পরে তাকে পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
ঘটনাটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তদন্তের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌমিতা দাশের তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জসিম উদ্দিনকে নিয়ে একটি কমিটি তদন্ত করা হয়।
তদন্ত কমিটির সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক আশাদন চাকমা বলেন, ‘আমার ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীটা অমনোযোগী ছিলো এবং তার বান্ধবীদের সাথে কথা বলছিল। পরক্ষণেই আমি তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করি আমি যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলাম সেটা কি কারক? সে উত্তর দিতে পারলো না। অপরদিকে আমি বললাম এটা অপাদান কারক। তার অমনোযোগীর বিষয়টা মানতে না পেরে আমি রাগের বসে তাকে থাপ্পড় মারি। যা তার নাকের নাক ফুলে লেগে নাক থেকে রক্ত বের হয়ে যায়। যা নিয়ে আমি সত্যি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। যা আমার কাম্য ছিলো না। আমি ভবিষ্যতে এমন কাজ আর কখনোই করবো না বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম।’
অভিযুক্ত ছাত্রী শিক্ষকের কথায় একদম নিশ্চুপ ছিলো। চুপ থেকে ঘটনার বিবরণীতে প্রমাণ করে এতে তাঁর সম্মতি আছে। তবে সে এই বিষয়ের উপর বলে, উনি আমাকে জোড়ে থাপ্পড় মারছে যা আমি প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করি। কিন্তু এর পূর্বে ওই শিক্ষক আমাকে কখনো মারেনি।
শিক্ষার্থীর পরিবার কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না বলে জানায়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য ৬,০০০ টাকা প্রদান করা হবে।
সকলের সিদ্ধান্তক্রমে শিক্ষক নিজের ভুল স্বীকার করেন ও মুচলেকা প্রদান করেন।