parbattanews

দলের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: জাফর আলম এমপি

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পুণরায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান সভাপতি ও মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্মেলনের শুরুতে সকালে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম।

হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ উদ্দিন মিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ।

উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি এমআর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদসহ ইউনিয়ন ও সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক সকল স্তরের নেতাকর্মী এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমপি বলেছেন, আগামীতে সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিটকে ঢেলে সাজানো হবে। নতুন কমিটি নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলের জন্য নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে যথাযথ মুল্যায়ন করতে হবে। কমিটির নেতা নির্বাচনে অপকর্মে জড়িত থাকলে কেউ স্থান পারবেনা। পাশাপাশি সদ্য অনুপ্রবেশকারী কাউকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কাউন্সিলার এবং পদায়ন করা যাবে না।

তিনি বলেছেন, দলত্যাগী ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন এমন নেতাও তালিকা থেকে বাদ যাবে। তবে গ্রহণযোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের খুঁজে খুঁজে পদায়ন এবং কাউন্সিলার করতে হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের অধীনে সকল ইউনিয়ন শাখার সম্মেলন যথা সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। সে জন্য প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। আশা করি দলের ঐক্যের প্রয়োজনে সকল ধরণের ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে এক কাতারে এসে কাজ করতে হবে। বিভেদ ভুলে যেতে হবে। এটি সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।

Exit mobile version