parbattanews

দারিদ্রতা পানছড়ির আনোয়ারের স্বপ্নপূরণে বড় বাধা

ANOWAR PIC

শাহজাহান কবির সাজু:

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার আনোয়ার হোসেন ছোট বেলা থেকেই যুদ্ধ করে আসছে অভাবের সাথে। অর্থনৈতিক দৈন্যদশার মাঝেও অভাবী আনোয়ার দেখিয়েছে একের পর এক চমক। ৫ম ও অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েও আনোয়ারের এখন একটি বড় বাধা অভাব। উপজেলার ৩নং পানছড়ি ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের খর্বকায় প্রতিবন্ধী মো: আবু তাহের ও জরিনা বেগমের ছেলে আনোয়ার। যার উপর্যপুরি সাফল্যর চমকে গর্বিত পুরো পানছড়িবাসী।

পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এবারের খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া আনোয়ারের অদম্য মনোবল আর সাহসিকতায় অনেক দূর এগুলেও সামনে রয়েছে তার কঠিন যুদ্ধ। এইচএসসি’তে পড়া অবস্থায় খাগড়াছড়ি অ-উপজাতীয় কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাসে পার করেছে কষ্টের দুটি বছর। সাত সকালে টিউশনি শেষে সাড়ে নয়টার হালকা পানতা খেয়েই কলেজে যেত আনোয়ার। কলেজ শেষে আবারো টিউশনি। এভাবেই ৩টি টিউশনি করে নিজ পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি পরিবারেরও অর্থযোগান দিত। রাত টার পর নিজের লেখাপড়া শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চালিয়ে যেত নিত্য। তাছাড়া ছোট দু’বোন পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মুনি আক্তার ও ৮ম শ্রেণীর তাসলিমার লেখাপড়ার প্রতিও সব সময় ছিল তার সজাগ দৃষ্টি। ব্যাংকার হওয়ার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে আনোয়ারের এবারের মিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি।

মেধাবী আনোয়ারের সাথে কথা হলে সে জানায়, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমার এখন বড় বাধা অসচ্ছলতা। এইচএসসিতে ভর্তি ও বই ক্রয়ে পার্বত্যনিউজ পানছড়ি প্রতিনিধি’র প্রায় সাত হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তাছাড়া নিজ গ্রামের ডা: মতিউর রহমান, ইউপি সদস্য শাহিন মৃধাসহ অনেকের সহযোগিতা ছিল বলে জানায়।

এলাকার সমাজ সেবক ডা: মতিউর রহমান জানায়, তার উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে ছেলেটি দেশের একটি সম্পদে পরিণত হবে।

Exit mobile version