parbattanews

দারুণ জয়ে শেষ ষোলোয় ক্রোয়েশিয়া

আল রাইয়ান খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের দর্শকরা তখনও সিটে ঠিক মত বসতে পারেননি। ঠিক ৬৮ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বসল কানাডার আলফান্সো ডেভিস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের প্রথম গোল। এবারের আসরে দ্রুততম। এর থেকে স্বপ্নের মুহূর্ত আর কি হতে পারে কানাডিয়ানদের জন্য? তবে এরপর রক্ষণে ঢুকে গেল কানাডা। দিলো এর মাশুল। তাছাড়া অভিজ্ঞতা বলেও তো একটা ব্যাপার আছে।

গত বারের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়া প্রতিপক্ষের রক্ষণের সুযোগ নিয়ে বসিয়ে দিল আক্রমণের ঝড়। তা সামলানোর মত যথেষ্ট ঢাল-তলোয়ার ছিল না কানাডিয়ানদের কাছে। ফলে জন হের্ডম্যানের দলকে ম্যাচটি হারতে হল ১-৪ গোলে। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে জোড়া গোল করেন আন্দ্রেই ক্রামারিচ। মার্কো লিভাইয়া ও লভরো মাইয়ের করেন একটি করে গোল। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে মরক্কোর কাছে আটকে যাওয়ার পর অবশেষে বিশ্বকাপে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেল ক্রোয়েশিয়া।

আগের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়া ডেভিসই ক্রোয়শিয়ার বিপক্ষে এনে দিলেন বিশ্বকাপে কানাডার প্রথম গোল। তারা এর আগে কেবল মেক্সিকোর ১৯৮৬ আসরে খেলেছিওল। তবে তিন ম্যাচের কোনোটিতে গোল করতে পারেনি তারা। গোল খেয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় ক্রোয়েটরা। ম্যাচের ২৬তম মিনিটে জালে বল পাঠান ক্রামারিচ। কিন্তু তাকে বল দেওয়া আরেক ফরোয়ার্ড লিভাইয়া অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল। মতার ১১ মিনিট পর ইভান পেরিসিচের চমৎকার রিভার্স পাসে দলকে সমতায় ফেরান ক্রামারিচ। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে বক্সের বাহির থেকে লিভাইয়ার শটে এগিয়ে যায় জাটকো ডালিচের দল।

বিরতির পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ কানাডা। অন্যদিকে ম্যাচের ৭০তম মিনিটে ক্রামারিচের দ্বিতীয় গোলে ৩-১-এ এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। আর যোগ করা সমইয়ের ৪ মিনিটের সমইয় ব্যবধান ৪-১ করেন মাহের। দুই ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে এফ গ্রুপে সবার উপরে ক্রোয়েশিয়া। মরক্কোর পয়েন্টও চার। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দলটি দ্বিতীয় স্থানে। দুই ম্যাচে এক জয় ও এক হারে তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বেলজিয়াম।

Exit mobile version