parbattanews

শহীদ মনির হোসেন দিবসে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ’র মানববন্ধন

শহীদ মনির হোসেন দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও শোক র‌্যালি করেছে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ’ । মনির হোসেনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ মানববন্ধনে শহীদ মনির হোসেনের আত্নত্যাগকে স্মরণীয় রাখতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মুরশীদ ত্বকীর সভাপতিত্বে  মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্বতন্ত্র জোট’র ছাত্র নেতা আবির মোহাম্মদ স্বচ্ছসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন।

স্বতন্ত্র জোট’র ছাত্র নেতা আবির মোহাম্মদ স্বচ্ছ পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ সুবিধা প্রদানের প্রতি জোর দেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মুরশীদ ত্বকী বলেন, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ শহীদ মনির হোসেনের আত্মত্যাগে তৈরি। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ যেন মনির হোসেনের স্মৃতি ধরে রাখার যথাযথ ব্যবস্থা নেয় সে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার প্রসার না হলে পাহাড়ের জনগোষ্ঠী আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের উপজাতি কিংবা বাঙালি বলে আলাদা না করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি মনির হোসেন মৃত্যুবরণ করেন।২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতীয়দের শত বাধা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকায় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু এই যাত্রাকে মেনে নিতে পারেনি পাহাড়ের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। মেডিকেল কলেজের যাত্রার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ আনন্দ র‍্যালি বের করে। সেই র‍্যালিতে হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। আহত হন প্রায় ১৭জন শান্তিপ্রিয় নিরীহ পার্বত্যবাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় যুবলীগ কর্মী মনির হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ১৭ জানুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ।

তারা বলেন, অপার সম্ভাবনাময়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারের কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকার যখনই হাতে নেয় তখনই একটা গোষ্ঠী বাধা হয়ে দাড়ায়। এই বাধা শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রে নয়। সড়ক যোগাযোগ, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও সামাজিক অগ্রগতি সব ক্ষেত্রেই বাধা দান করে এই গোষ্ঠী।

তারা আরও বলেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ও তারা বাধা দিয়েছিল। ওই অঞ্চলের মানুষকে আধুনিকতা ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে তাদের দমিয়ে রেখে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার করে ত্রাস সৃষ্টি করে রাখাই এদের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে হয়।

Exit mobile version