দীঘিনালায় অপমান সইতে না পেরে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

fec-image

দীঘিনালায় মারধর ও অপমান সইতে না পেরে কলেজ ছাত্রী প্রিয়া চাকমা আত্মহত্যা করেছে।এঘটনায় অভিযুক্ত তিন কলেজ ছাত্রকে আটক করেছে দীঘিনালা থানার পুলিশ।

রোববার (১ মার্চ) ভোরে দীঘিনালা উপজেলার বড়াদম এলাকার খামারপাড়া গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

প্রিয়া চাকমা দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং খামারপাড়া গ্রামের জীবিকাময় চাকমার মেয়ে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রিয়া চাকমা  শনিবার দুপুরে কলেজ শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে উপজেলার নারিকেল বাগান এলাকায় পথ আগলে দাড়ায় একই কলেজের শিক্ষার্থী অনিক চাকমা, জয়েস চাকমা এবং সুমন্ত চাকমা।

এ সময় প্রেমের প্রস্তাব রাজী না হওয়ায় মারধর করে এবং মোবাইলে তা ভিডিও করে। পরোক্ষণে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয় ।

অপমান সইতে না পেরে পরে বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু না বলে প্রিয়া চাকমা রোববার ভোরে বাড়ির উত্তর পার্শ্বে আম গাছের সাথে ঝুলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করে।

ঘটনা জানাজানি হলে, কলেজ ছাত্ররা অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী উপজেলার জোড়াব্রীজ এলাকার পুলিন বিহারী চাকমার ছেলে অনিক চাকমা, শান্তিপুর এলাকার সুনীল বিকাশ চাকমার ছেলে জয়েস চাকমা এবং কামাকুছড়া এলাকার জীবন কুমার চাকমার ছেলে সুমন্ত চাকমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এদিকে ঘটনার পর বড়াদম এলাকার খামারপাড়া গ্রামে পুলিশ গিয়ে প্রিয়া চাকমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

এ ব্যাপারে প্রিয়া চাকমার মা চিগোন মিলা চাকমা জানান, আমার ২ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে প্রিয়া সবার ছোট। আমার মেয়েকে মারধর করার পর তারা সেগুলি ভিডিও করেছে। তাই অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।

প্রিয়া চাকমার বড় বোন পুষ্পলিকা চাকমা মারধরের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।

এ ব্যাপারে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রিয়া চাকমার পরিবার থেকে কেহ বাদী না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা, চাকমা, ফেসবুক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন