parbattanews

দীঘিনালায় আনসার সদস্যের হামলায় পিতাপুত্র আহত: এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

সংঘর্ষ

দীঘিনালা প্রতিনিধি:
দীঘিনালা উপজেলায় এক আনসার সদস্যের হামলায় পিতাপুত্র আহত হয়েছে। আহতরা হলেন হারুন মিঞা (১৭) ও তার পিতা মো. গিয়াস উ্দদীন। গত শনিবার উপজেলার জামতলী এলাকার ‘ইসলাম শিবির পোষ্ট’ নামক নিরাপত্তা ক্যাম্পে এঘটনা ঘটে।

এদিকে অভিযুক্ত আনসার সদস্যের বিচার দাবী করে উত্তেজিত এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে এবং আধঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে উপজেলার জামতলী এলাকার ‘ইসলাম শিবির পোষ্ট’ এলাকার প¦ার্শবর্তী একটি পুকুরে হারুনসহ বেশ কয়েক তরুন গোসল করতে যায়। পরে সেখানে গোসল সেরে ক্যাম্প এলাকার নলকুপে পানি নিতে গেলে আনসার ক্যাম্পের নায়েক আবদুস সামাদ বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হারুনকে ক্যাম্পে নিয়ে মারধর করে বেধে রাখে পরে তার পিতা মো. গিয়াস উদ্দীন ছাড়িয়ে আনতে গেলে, পিতা পুত্র দুজনকেই জামতলী আনসার হেডকোয়ার্টারে নিয়ে আসে। পরে সেখানে গিয়াস উদ্দীনকে আরো মারধর করে।

পরে আহতদের উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হারুন মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে হারুনের পিতা মো. গিয়াস উদ্দীনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে এঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার সদস্যের বিচার দাবী করে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কে আধাঘন্টা যান চলাচল বন্ধ রাখে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইসলাম শিবির পোষ্ট এর নায়েক আবদুস সামাদ জানান, স্থানীয় কিশোররা পুকুরে গোসল সেরে যাওয়ার সময় আমাদের নলকুপে কাপড়-চোপর ধোলাই করতে চাইলে আমরা বাধা দিয়েছে। এখানে কোন প্রকার মারামারি হয়নি।

এব্যাপারে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্বায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার শিউলি চাকমা জানান, আহত হারুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে হারুনের পিতা গিয়াস উদ্দীনের শরীরে বেশ কয়েকটি জখম রয়েছে, তাই জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এব্যাপারে ৩১ আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক মাসুদ সাজ্জাদ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা আনসার ক্যাম্প আক্রমণ করতে গেলে তাদের আটক করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এখন পর্যন্ত কেহ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগপেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version