ফলোআপ

দীঘিনালায় আ’লীগ সভাপতি শাকিল হোসেন হত্যাকাণ্ডে মামলা নিয়ে বিতর্ক

fec-image

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মেরুং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: শাকিল হোসেন (৫২) হত্যাকাণ্ডের মামলা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হত্যাকান্ডের পর পরিবারের পক্ষ থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাকিল হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও বিরোধীয় পক্ষকে বাদ দিয়ে অন্য ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হওয়ায় এ প্রশ্নের সূত্রপাত। এর ফলে প্রকৃত হত্যাকারীরা পার পেয়ে যাওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার রাতে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের দুর্গম রেংকার্য্য এলাকায় মো: শাকিল হোসেন খুন হন। হত্যার পর দুবৃর্ত্তরা শাকিলের লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২ টার দিকে গামছা দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় শাকিলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

নিহত শাকিলের ছেলে মিন্টু মিয়া দাবি করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের সাথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাকিলের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গঠিত কমিটি শনিবার (২ অক্টোবর) বিরোধপুর্ণ জমি পরির্দশন করে বিরোধ নিষ্পত্তি করার কথা ছিল। মূলত জমির বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তার দাবি। তার এ বক্তব্য দেশের সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

রেংকার্য্য এলাকায় জনৈক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবেশী তৈঙ্গা চাকমা ও মন্দিপ্ত চাকমার সাথে মো: শাকিলের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। আর একই এলাকার বাসিন্দা জ্ঞান চাকমা ছিলেন, বিরোধের মধ্যস্থতাকারী। এ জমি বিরোধের জেরে গত ২২ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় তৈঙ্গা চাকমা ও মন্দিপ্ত চাকমার নেতৃত্বে শাকিল হোসেনের উপর হামলা হয়। হামলায় শাকিল হোসেনের মাথা ফেটে যায়।

এ নিয়ে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর ) মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যাান রহমান কবির রতনের উপস্থিতি দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকও হয়। বৈঠকে গঠিত কমিটি শনিবার ( ২ নভেস্বর) বিরোধপুর্ণ জমি পরির্দশন করে বিরোধ নিষ্পত্তি করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের দিন রাতেই খুন হন শাকিল হোসেন।

এদিকে শনিবার বিকালে নিহত শাকিলের ছেলে মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ ছয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করে। তবে শনিবার রাত ১১টার দিকে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যাান রহমান কবির রতনের মোবাইল (০১৫৫২৪২৬৭২৬) ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, নিহতের ছেলে যেভাবে এজাহার দিয়েছে, পুলিশ সেভাবে মামলা গ্রহণ করেছে। এখানে পুলিশের করার কিছু নেই। তবে তদন্তের অন্য কারো নাম আসলে পুলিশ তাদেরও আইনের আওতায় আনবে।

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, যাদের সাথে জমি বিরোধ তাদের আসামি না করে দলীয় নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত হত্যাকারীরা পার পেয়ে যাওয়ার শংকা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, মো: শাকিল হোসেন, হত্যাকাণ্ড
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন