দীঘিনালায় কবাখালী ছড়ার ভাঙ্গনে রাস্তা বিলীন: সাঁকো তৈরি করে চলাচল

fec-image

দীঘিনালা উপজেলায় কবাখালী ছড়ার ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে দক্ষিণ মিলনপুর সড়ক। ফলে গ্রামের লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। বেশ কয়েক স্থানে সড়কের উপর সাঁকো তৈরি করে এলাকাবাসীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সাঁকো ধরে পার হচ্ছে। একজন বাইসাইকেল হাতে ধরে পার করছে।

এ সময় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাচিনসনপুর-দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামের নুরুজ্জান এবং আমির হোসেন সওদাগরের বাড়ির পাশের রাস্তা পুরোপুরি কবাখালী ছড়াতে বিলীন হয়েছে। এ সব স্থানে বাশের সাঁকো তৈরি করে এলাকাবাসীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে আলী আশ্রাফের এন্তাজ আলী মেম্বার এবং আবু তাহেরের বাড়ির পাশেও ভাঙ্গন ধরেছে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং কবাখালী আল আমিন বাড়ীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, গত আট বছর যাবৎ রাস্তাটি ভেঙে নদীতে চলে গেছে। এলাকার লোকজনের চলাচলের খুব কষ্ট হয়। বিশেষ করে স্কুল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভয় বেশী লাগে। তারা কোন সময় নদীতে পড়ে যায়!

এ ব্যাপারে দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, আমাদের গ্রামের পুরো রাস্তা নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার পালা! এছাড়া নদীগর্ভে রাস্তা বিলীন হওয়ার পর, তোফাজ্জল হোসেন নামে এক লোক নদীর পানিতে পড়ে মারা গেছেন। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাগবে রিটার্নিং ওয়াল দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম জানান, দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং পার্বত্য জেলা পরিষদকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন