দীঘিনালায় চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে মৌসুমী ফল বেচাকেনা বন্ধ
দীঘিনালায় চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে মৌসুমী ফল বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ফলে উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে আসা ফল বিক্রেতারা বেকায়দায় পড়েন। এতে থানা বাজার সড়কের দু’ধারে জমা পড়ে ফলের স্তুপ।
জানাযায়, মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দীঘিনালা থানা বাজারের নির্ধারিত হাট বার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আম, কাঠাঁল, কলা নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা হাটে আসে। হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা মৌসুমী ফল কেনা বন্ধ করে দেয়। এতে থানা বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা কমপ্লেক্স পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে আম, কাঠাঁল এবং কলা স্টক দিনভর পড়ে থাকতে দেখা যায়। পচনশীল এসব মৌসুমী ফল বিক্রি করতে না পারায় বেকায়দায় পড়েন স্থানীয় ফল চাষীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলার রশিক নগর এলাকার শেখ ফরিদ জানান, আজকে আমি ২শত পিস কাঠাঁল হাটে তুলেছি। হাটে আনার পর জানতে পারি ব্যবসায়ীরা ফল কিনবেনা? আমি এখন এতোগুলি কাঠাঁল কী করবো? কীভাবে বউ বাচ্চা নিয়ে ঈদ করবো?
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, বিভিন্ন দলের চাঁদাবাজি এবং পৌর কর বৃদ্ধির কারণে আমাদের প্রতি গাড়িতে লোকসান আস। তার প্রতিবাদে আজকে আমাদের মৌসুমী ফল কেনা বন্ধ রেখেছি।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিছ জানান, বিভিন্ন সংগঠনের চাঁদা, হাইওয়ে পুলিশের চাঁদা, বিভিন্ন টোল হঠাৎ করে দ্বিগুণ হওয়ায় আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। এসব টোল এবং বিভিন্ন চাঁদা বন্ধের প্রতিবাদ মৌসুমী ফল বেচাকেনা বন্ধ রেখেছি।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমিনুর রহমান বাচা জানান, চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত পৌর কর, জেলা পরিষদ টোল এবং হাইওয়ে পুলিশের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, আদায়কারী সংস্থাকে তাদের দাবিকৃত পৌরকর টোল, চাঁদার টাকা দেয়ার পরও ব্যবসায়ী ও ড্রাইভারদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবৈধ চাঁদা বন্ধসহ ব্যবসায়ী গাড়ি চালকদের নিরাপদ ব্যবসার পরিবেশ না ফেরা পর্যন্ত সকল প্রকার মৌসুমী ফল বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।