দীঘিনালায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে বাক-বিতণ্ডা
দীঘিনালায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে বাক বিতণ্ডাসহ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুপক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগ এবং দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে অপর পক্ষ।
ফলে গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে উদ্যোগ নিলে অপর পক্ষ আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করার প্রস্তুতি নেয়।
ফলে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে দীঘিনালা থানা পুলিশ। পরে সকাল সাড়ে দশটায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, পুলিশ দুপক্ষকে শান্ত করে।
পরে মেহেদি-হেলালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ মাইনী সেতু এলাকায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা করে।
আলোচনা সভায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হেলাল ওয়াহিদ।
আলোচনা সভায় মেহেদি হাসান অভিযোগ করে জানান, আমাদের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হলেও ভাড়া করা লোকজন বাধা দিয়েছে |
এব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা বাবলু কুমার দে জানান, বর্তমান কমিটির অধিকাংশ বিবাহিত এবং অছাত্র। তাই আমরা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কমিটি মানিনা!!
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করার ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়| পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।