parbattanews

দীঘিনালায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আট গ্রামের সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার প্লাবিত

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালায় গত শুক্রবার থেকে টানাবর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের আট গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশত পরিবার প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে শতাধিক পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত তিন দিনের টানা বর্ষণ এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার মেরুং বাজার, সোবানপুর, হাজাছড়া, ছোট মেরুং, বাদলছড়ি, বড় মেরুং, বাঁচা মেরুং, তিন নম্বর কলোনী এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গৃহহীন প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার।  এরমধ্যে শতাধিক পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  আশ্রয় নিয়েছে। বাকী লোকজন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে পাহাড় ধসে উপজেলার মধ্য বোয়ালখালিতে ১টি, হাজাছড়ায় ২টা এবং মেরুং ৩নং কলোনিতে ২টা বসত ঘর চাপা পড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।  পাহাড় ধসে সচেতনতায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করা হয়েছে।

ছোট মেরুং বাজার পরিচালনা কমিটির  সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন জানান, বন্যার পানিতে বাজারের শতাধিক দোকান এখন পানির নিচে। বাজারের মাঝখান দিয়ে নৌকা চলাচল করছে। পানির কারণে অনেক দোকানের পণ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাবে।

এব্যাপারে মেরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন জানান, বন্যায়  সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে  আশ্রয় নেয়া শতাধিক পরিবারের মাঝে  জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে  তাৎক্ষণিকভাবে শুকনো খাবার বিশেষ করে চিড়া, মুড়ি ও গুড় বিতরণ করেছে।

এব্যাপারে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমান কবির রতন  জানান, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে মেরুং ইউনিয়নের আটটি গ্রামের সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত পরিবারগুলো পার্শ্ববর্তী আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও  ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে উপজেলা প্রশাসনের নিকট জমা দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষগুলো ত্রাণ সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী লোকজনদের নিরাপদে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করা হয়েছে।

Exit mobile version