parbattanews

দীঘিনালায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নারীর জমানো টাকার লোভে খুন করে প্রতিবেশী রেজাউল

দীঘিনালায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নারী মরিয়ম বেগমের (৬০) জমানো টাকার লোভেই খুন করা হয়। গেল রবিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে এসব তথ্য জানান, আটক আসামি রেজাউল (২৫)। রেজাউল সোবহানপুর ২নং কলোনি গ্রামের রৌশন আলীর ছেলে।

শুক্রবার সকালে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সময় কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে মাহফুজা বেগম (৪০) বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করে।

হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইহাটের শ্বশুর বাড়ি গেলে সেখান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধায় আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টির সময় সময় সোবহানপুর ২নং কলোনি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মরিয়ম বেগমের (৬০) ঘরের টিনের বেড়া কেটে প্রবেশ করে প্রতিবেশী রৌশন আলীর ছেলে রেজাউল (২৫)। পরে সেখানে সুকেস এর গ্লাস এবং্ড্রয়ার ভেঙ্গে টাকা খোঁজে। পরে টাকা না পেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মরিয়ম বেগমকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এদিকে ঘটনার পর শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী লেবু মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া প্রথমে ঘরে প্রবেশ করলে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মরিয়ম বেগমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জানান।

এব্যাপারে মামলার বাদী এবং নিহত মরিয়ম বেগমের মেয়ে মাহফুজা বেগম (৪০) জানান, আমার মায়ের নিকট গ্রামের অনেকেই টাকা জমা রাখে। গত দু মাস আগেও একবার সুকেস ভেঙ্গে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। ঘরে টাকা না পেয়ে আমার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে রেজাউল। এসময় তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত রেজাউল এর ফাসি দাবি করেন।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সকালে ঝড় বৃষ্টির সময় ঘরের বেড়া কেটে প্রবেশ করে টাকার লোভেই খুন করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নারী মরিয়ম বেগমকে। পরে সে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইহাটে শ্বশুর বাড়ীতে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার সন্ধায় আটক করা হয়।

Exit mobile version