দীঘিনালায় পাল্টাপাল্টি মামলার পর আবারও মামলা

fec-image

দীঘিনালা উপজেলার বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলার পর আবারও মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে একই ঘটনায় গত শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিক এবং ১নং মেরুং (উত্তর) ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. রহমান বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় পৃথক আরও দুটি মামলা দায়ের করন।

জানাযায়, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরসহ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ আসবাবপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিক বাদী হয়ে ১নং মেরুং ইউপি সদস্য শাহ আলম ভূইয়া সজীব(৪৫)কে প্রধান আসামি করে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে এঘটনায় অপরপক্ষের মো. রহমান (২৮) বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিক (৩৭) কে প্রধান আসামি করে আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মামলার বাদী মো. সফিক অভিযোগ করে জানান, বিদ্যালয় কমিটি গঠন রেজুলেশন পড়ে শোনানোর পর হঠাৎ করে শাহ আলম ভূইয়া সজীব ও তার দলবল নিয়ে রেজুলেশন খাতা টেনে নিয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম কে মারধর করে। এসময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে।

অন্যপক্ষের মামলার বাদী ১নং মেরুং (উত্তর) ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর এবং প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, উল্টো প্রতিপক্ষরাই আমার চাচা শাহ আলম ভূইয়া সজীবকে মারধর করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছে।

এদিকে পাল্টাপাল্টি মামলার একদিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহ আলম ভূইয়া সজীব (৪৪) কে প্রধান আসামি করা তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৮-১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, নিয়মানুযায়ী কমিটি গঠন করার পর ঘটনার দিন, রেজুলেশন খাতা কেড়ে নিয়ে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমাকে কিল ঘুষি চর থাপ্পড় মারতে থাকে। এসময় মহিলা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। এসময় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুরসহ প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি করে।

এব্যাপারে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব, বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষককে মারধর এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় দুই পাল্টাপাল্টি মামলার পর প্রধান শিক্ষকের মামলা দায়ের করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: দীঘিনালায়, পাল্টাপাল্টি, মামলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন