parbattanews

দীঘিনালায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়া বৃদ্ধের চিকিৎসা ও ভরণপোষণের দ্বায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা:

দীঘিনালায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়া পক্ষাঘাতগ্রস্থ তৌহিদুল ইসলামের (৭০) পাশে দাড়িয়েছে দীঘিনালা জোনের সেনাবাহিনী।

সোমবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলার ছোট মেরুং বাজারের যাত্রীছাউনী থেকে উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। এসময় লোকটির চিকিৎসা ও ভরণপোষণের দ্বায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী।

জানা যায়, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ২নং কলোনি পাড়া গ্রামের মৃত সুয়া মিয়ার পুত্র তৌহিদুল ইসলামের (৭০)। সংসারে স্ত্রী ছাড়াও তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। মেরং ইউনিয়নের ২নং কলোনি এলাকায় বসতবাড়িসহ জমিজমা রয়েছে তৌহিদুল ইসলামের। এছাড়া কবাখালী ইউনিয়নের জয়কুমার কার্বারী পাড়ায় একটি টিনশেড বিল্ডিং রয়েছে তাঁর।

পাঁচ বছর পূর্বে তৌহিদুল ইসলামের এক হাত ও দুই পা অবশ হয়ে যায়। চিকিৎসায় উন্নতি না হওয়ায় স্ত্রী সন্তানেরা বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে তিনি অাশ্রয় নেন, মেরুং ইউনিয়নের ২নং কলোনি এলাকার ছোট বোন মমতাজ বেগমের বাড়িতে।

সম্প্রতি মেরুং ইউনিয়নে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর ছোট বোন বাড়ি থেকে নিয়ে ছোট মেরুং উচ্চ বিদ্যালয়ে রেখে যান। এরপর গত চারদিন যাবৎ মেরং বাজারের যাত্রীছাউনীতে অবস্থান। গেল শুক্রবার দীঘিনালা জোনের সেনাবাহিনী যাত্রীছাউনী থেকে উদ্ধার করে নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন জানান, গত শুক্রবার লোকটিকে মেরুং বাজারের যাত্রীছাউনীতে দেখতে পাই। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, তার স্ত্রী-সন্তান ও জমিজমা রয়েছে। পরে অামরা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলকে অবহিত করি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, লোকটির নামে গুচ্ছগ্রামের একটি কার্ড রয়েছে। অামরা প্রশাসনের উদ্যোগে অাবারও কার্ডটি তার হাতে হস্তান্তর করবো। যে তার সেবাশুশ্রূষা করবে কার্ড তার হাতেই থাকবে।

দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়া উদ্দিন মাহমুদ জানান, পক্ষাঘাতগ্রস্ত তৌহিদুল ইসলামকে (৭০) যাত্রীছাউনী থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তার যাবতীয় চিকিৎসাসহ ভরনপোষনের সমস্ত দায়িত্ব অামরা নিয়েছি৷

প্রাথমিকভাবে খাবারদাবারের জন্য নগদ পাঁচ হাজার টাকাও দিয়েছি৷

Exit mobile version