parbattanews

দীঘিনালায় যুবলীগ নেতা মোশারফ হত্যাকাণ্ড: চার পরিকল্পনাকারী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা:
দীঘিনালায় যুবলীগ নেতা মোশারফ হত্যার চার পরিকল্পনাকারীকে আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় হাটহাজারী থেকে বুধবার আটক করা হয় হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ফজর আলী। তাকে আটক করার পর তার দেয়া তথ্যের পর দীঘিনালা উপজেলার রশিকনগর এলাকা থেকে অপর তিন হত্যাকারীকে আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ।

গত শুক্রবার রাতে মূলত ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে মোশারফকে গলা কেটে কুপিয়ে হত্যার পর গভীর রিং টিউবওয়েলে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

পুলিশ জানায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরেই মোশারফকে হত্যা করে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড ঘটার ৫দিন আগে হাতেম আলীর নেতৃত্বে প্রথম আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, পয়লা বৈশাখে সবাই ব্যস্ত থাকবে, এ সময় হত্যা করলে কেউ জানবে না, তাই পহেলা বৈশাখ দিবাগত রাতকেই বেছে নেয়া হয়।

পরিকল্পনা মতে, ওই দিন রাতে মোশারফ বটতলী বাজারে হযরতের দোকানে বসা ছিল। তক্ষক ব্যবসার বড় ব্যবসায়ী পাওয়া গেছে, এমন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় তাকে বটতলী বাজারের পেছনে যাওয়ার পরামর্শ দেন হাতেম আলী। পরে মোশারফ বাজারের পেছনে যাওয়ার পরপরই সাইদুর আলী এবং নবী হোসেন উপর্যোপুরি ছুরি ও দা দিয়ে আঘাত করে। এসময় ফজর আলী তাকে দা দিয়ে গলা কাটে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ লুকাতে গভীর রিং টিউবওয়েলে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় হত্যার অন্যতম আসামী বুধবার ভোররাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাটহাজার থেকে ফজর আলী(৩০)কে আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ। ফজর আলী উপজেলার গোরস্থান পাড়ার আলাল খা’র ছেলে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রশিক নগর এলাকার সিরাজ মিঞার ছেলে হাতেম আলী (৩২), ফালু মিঞার ছেলে নবী হোসেন এবং হযরত আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম(৩০)কে আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ।

এদিকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, দা ওই রিং টিউবওয়েলে ফেলে দেয়া হয়। গত বুধবার ওই রিং টিউবওয়েলে ছুরি ও দা উ্দ্ধারে অনুুসন্ধান চালানো হয়।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সামসুদ্দিন ভুইয়া জানান, পুলিশ সুপার মহোদয়ের পরামর্শ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাউদ্দিনের দিকনির্দেশনায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মোশারফ হত্যার মুল পরিকল্পনাকারীসহ সকল আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্যঃ গত ১৩ এপ্রিল রাত দশটায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ও যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে গলাকেটে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পরের দিন বটতলী বাজারের পাশে রিং টিউবওয়েল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

Exit mobile version