দীঘিনালায় সম্মেলনকে ঘিরে ছাত্রলীগ সরব
আগামী নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে চাঞ্চল্য।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসন থেকে নির্বাচিত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদা সম্পন্ন) বাবু কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন। এতে করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বেড়েছে বহুগুণে।
ইতিমধ্যে সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ের জন্যে কুশল বিনিময়সহ সমাবেশ করে চলেছেন। কোন কোন প্রার্থী ছবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন টানিয়েছেন।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, সভাপতি পদে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলু কুমার দে, দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য অপু চৌধুরী ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. এরশাদ ।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, সুমন দাশ এবং মেরুং (উত্তর) ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজু
এব্যাপারে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের এক সদস্য মো. হাবিবুজ্জামান জানান, যারা কমিটিতে আসবেন, তারা আমাদের নেতা এবং উপজেলা ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু এমন নেতা হওয়া চাই, যারা মাদক, সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার কলঙ্ক মুক্তভাবে ছাত্রলীগ পরিচালনা করতে পারে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল জানান, গঠনতন্ত্র মোতাবেক যোগ্য প্রার্থী যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিদ্যমান এমন নেতৃত্বের গঠন করার জন্য জেলা নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের পরামর্শ থাকবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম জানান, যেহেতু এমপি মহোদয়ের এলাকা, সেহেতু সকলের সহযোগিতায় একটি চমৎকার কাউন্সিল উপহার দেয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা জানান, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কাউন্সিল না হওয়ার কারণে একদিকে সাংগঠনিকভাবে দল নিস্তেজ হয়ে গেছে, অন্যদিকে অনেক ভালো ভালো নেতৃত্ব বয়সের কারণে বাদ পড়ে যাচ্ছে! তাই সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্মেলন না হওয়া উপজেলা এবং কলেজ কমিটি যথা শীঘ্রই শেষ করা হবে।
এছাড়া দীঘিনালায় উপজেলা ছাত্রলীগকে সু সংগঠিতভাবে পরিচালনা করতে পারে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না, এমন নেতৃত্বই উপহার দেয়া হবে।