দীর্ঘ ৮ মাস পর পর্যটক নিয়ে দুই জাহাজের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যাত্রা শুরু
অবশেষে সকল জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ ৮ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে কেয়ারী সিন্দাবাদ ও এমভি ফারহান জাহাজ প্রায় ১ হাজার পর্যটক নিয়ে চলাচলের যাত্রা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) টেকনাফ দমদমিয়া (বিআইডব্লিউটিএ)ঘাট থেকে কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজে ৩৫০ জন ও এমভি ফারহান জাহাজে ৬৫০ জন পর্যটক নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় যাত্রা করে বেলা ১২ টায় সেন্টমার্টিনদ্বীপে পৌঁছে।
বে বেঙ্গল গ্রুপ (এমভি ফারহান) জাহাজের পরিচালক তোফায়েল আহমদ বলেন- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌ-পরিবহন দফতরের ছাড়পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় অনুমতি সাপেক্ষে ৬৫০ জন পর্যটক চলাচল শুরু করেছে।
কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজের এজিএম এন্ড ইনচার্জ এসএম আবু নোমান বলেন, ‘এবার জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আমাদের জাহাজ আবারও ৩৫০ জন পর্যটক নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচল শুরু করেছি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপে পৌঁছানোর পর সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা আবাসিক হোটেল ও কটেজ সাজিয়ে রাখছেন।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘১৩ নভেম্বর সকাল থেকে প্রায় ১ হাজার পর্যটক নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে দুটি জাহাজের যাত্রা শুরু হয়েছে।
টেকনাফ নদীবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জহির আহমদ বলেন, ‘এবারের পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলের জন্য দুটি জাহাজ অনুমতির কাগজপত্রের একটি অনুমতিপত্র অনুলিপি পেয়েছি। এর মধ্যে এমভি কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজকে গত ১ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর এবং এমভি ফারহানকে ৪ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছিল।