দুটো ঝুকিপূর্ণ পিলারে দাঁড়ানো পানছড়ির গোলক প্রতিমাছড়া সেতু

ফাটলধরা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ পিলারে কোনরকম দাঁড়িয়ে আছে পানছড়ির গোলক প্রতিমাছড়া সেতু। ১৯৯৮ সালের নির্মিত সেতুটির উপরের চাইতে নিচের অংশটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া পিলারের ফাটল দিয়ে বের হওয়া রডগুলোও কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। পিলার দেবে হালকা কাত হয়ে পড়া সেতুটির প্রস্থ মাত্র পাঁচ ফুট। তাই এই সেতু দিয়ে চলাচল করে শুধু সিএনজি, ব্যাটারিচালিত টমটম আর ভাড়ায়চালিত মোটর সাইকেল। নিত্য চলাচলকারীদের দাবি মাত্র পাঁচ ফুট প্রস্থের সেতুটি যেমনি ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তেমনি ইট-বালুসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে কষ্ট পোহাতে প্রায় ১০/১৫ গ্রামের জনসাধারণের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে সেতুটি পার হতে সবাই স্মরণ করছে যার যার সৃষ্টিকর্তার নাম। সেতুর পাশেই শোভা পাচ্ছে গোলক প্রতিমাছড়া ও দমদমের বিশালাকার সবজি মাঠ। সুপারি বাগান, নাপিতাপাড়া, অক্ষয়পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের উৎপাদিত ফল-ফলাদি এই সেতু পার হয়েই বাজারজাত হচ্ছে দেশব্যাপী। পাশাপাশি রয়েছে কোমলমতি শিশুদের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।
বৃষমোহন পাড়া ও হাসাননগর গ্রামের টমটম চালক খোকন চাকমা ও হাবিবুল্লা জানান, যে কোন মুহূর্তে সেতুটি ছড়াগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
৩নং পানছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমা জানান, সেতুটির অবস্থা খুব খারাপ। নিচের অংশ পুরোটাই ফাটলধরা। দুর্ঘটনা ঘটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
পানছড়ি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আবদুল খালেক জানান, সরেজমিনে গিয়ে সেতুটি দেখে এসেছি। দ্রুত সেতুটি নির্মাণের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।