দু’মাস পর ছেড়ে দেওয়া হলো মিয়ানমারের পণ্যবাহী নৌকা
কক্সবাজার টেকনাফে স্থল বন্দরে দু’মাস ধরে আটকে রাখা একটি পণ্যবাহী নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । মিয়ানমার থেকে নৌকাটি ১ জুলাই সুপারি, আদাসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে টেকনাফ বন্দরে নোঙ্গর করে। তবে লবণাক্ত পানি ঢুকে নষ্ট পণ্য ডেলিভারি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ভুক্তভোগী টেকনাফের সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা এটি আটকে রাখে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অবশেষে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও উদার বাণিজ্যিক মনোভাব বিবেচনা করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এসি ল্যান্ড এরফানুল হক চৌধুরী বন্দর সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক শেষে নৌকাটি ছেড়ে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নষ্ট পণ্য এনে টেকনাফ বন্দরে ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে নৌকাটি আটকে রাখা হয়েছিল। পরে খবর পেয়ে নৌকাটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দু’দেশের ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্সি বসে সমাধান করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’
টেকনাফ স্থল বন্দরের সেভেন স্টার সিএন্ডএফ এজেন্ট এর ইনচার্জ আরফাতুর রহীম বলেন, ‘ মিয়ানমার থেকে ৬ কোটরা ভর্তি পণ্য নিয়ে গত ১ জুলাই টেকনাফে নোঙ্গর করে নৌকাটি। মিয়ানমারের তুআইনজি নামক সিএন্ডএফ এজেন্ট কতৃপক্ষ পণ্যের সমস্ত লেনদেন পরিশোধ করা হয়। কিন্তু পণ্য আনলোড করার সময় দেখা যায় একটি কোটরার প্রায় ৫ শতাধিক বস্তাবন্দি আদা, সুপারিসহ এক কোটি টাকা মূল্যের পণ্য লবণাক্ত পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমার ৩৫৬ বস্তা ছাড়াও ব্যবসায়ী ফেরদৌসের ৫০ বস্তা ও সাদ্দামের ৯০ বস্তা পণ্য নষ্ট হয়।’
এরআগে এ বিষয় নিয়ে কোন ধরনের সমঝোতা না হওয়ায় টেকনাফ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বশীলকে অবহিত করে নৌকাটি মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে আসা নৌকাটি আটকে রেখেছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বন্দর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এরফানুল হক চৌধুরী সমন্বয় করে এটির সমাধান দিয়েছেন। ‘
অপর দিকে টেকনাফ বন্দরে প্রধান ফটকের সামনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বেশ কিছু দোকান উচ্ছেদ ও রাস্তায় পাশে দাড়িয়ে থেকে যানজট সৃষ্টি করা ট্রাক সরিয়ে দেওয়ার অভিযান চালানো হয়। এ সময় টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।