‘দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে প্রয়োজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ’
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সমতলের সাথে সমান তালে পাহাড়েও উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে বর্তমান সরকার। শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকায় পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে প্রয়োজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ।’
সোমবার (২৯ নভেম্বর) রামগড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল পাতাছড়া ইউনিয়নের বালুখালীতে বালুখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাস, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু কাওসার, পাতাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম আলমগীর।
ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম (আলমগীর) স্বাগত বক্তব্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বালুখালীর জনগণের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘উপজেলা সদর থেকে ১৮ কি.মি. দূরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে এখানকার হতদরিদ্র কৃষিজীবী মানুষ চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সরকারি অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে সবাইকে কৃষিকাজে নিয়োজিত হয়। আর মেয়েদেরকে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে বাল্য বিবাহ দেন।
দুর্গম পাহাডড়ি এলাকা বালুখালীতে ২০০৮ সালে বালুখালি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলেও করোনাকালীন সময়ে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে ইউপি চেয়ারম্যান স্কুলটি পুনঃচালুর উদ্যোগ নেন। জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস স্কুলভবন নির্মাণের জন্য ৫ লাখ টাকার অনুদান দেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে স্থানীয় হেডম্যান, কারবারি, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।