‘দেশে ধূমপান ও তামাক সেবনে বছরে প্রায় ১২ লাখ মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়’
“তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যের আলোকে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) সকাল ১০টায় আলীকদম উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে আলোচনা সভার পরে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মো. সোয়াইবের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যস্থাপনা পরিচালক মানস নন্দীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন এমএ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক, উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিযুজ রায়, ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার ধর, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, ৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রোসহ সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে বছরে প্রায় ১২ লাখ মানুষ ৮টি প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকালে পঙ্গুত্বের শিকার হয়। পৃথিবীতে প্রতিবছর তামাকের কারণে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অকালে মারা যায়। এরমধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে বছরে প্রায় ৯ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে।
বক্তারা আরও বলেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন দুটিই ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী নেশা। তামাক সেবনে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ক্রণিক লাং ডিজিজসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়, যার পরিণাম মৃত্যু।