parbattanews

ধর্মীয় শিক্ষায় অবদান রাখছে নারিচবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা

বাইশারী প্রতিনিধি:

আলোকিত মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবে নতুন সংযোজন নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের নারিচবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, শিক্ষায় অনগ্রসর পাহাড়ি অঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা তথা কোরআন-হাদিসের শিক্ষা বিস্তারের মহান ব্রত নিয়ে মাওলানা আব্দুল গনী নুরী ২০০৩ সালে নারিচবুনিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চালু করার উদ্যোগ নেন।

এসময় এলাকাবাসীর সার্বিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। মাদ্রাসাটিতে জমি দান করেন স্থানীয় বাসিন্দা মরহুম ইসলাম সওদাগর।

মাদ্রাসা সূত্রে আরও জানা যায়, মাদ্রাসাটি ২০১৮ সালে জুনিয়র দাখিলে রুপান্তরিত হয় এবং ২০১৯ সালের শুরু থেকেই দাখিলে রুপান্তর ঘোষিত হয়। মাদ্রাসাটি দাখিল (বাস্তবায়িত) হলেও ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে ৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় ২শ’ ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ণ করছেন। ২০১০ সাল থেকেই ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে মাদ্রাসাটি।

২০১৮ সালের ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৩ জন এ প্লাস এবং ৯ জন শিক্ষার্থী এ মাইনাস পেয়েছে।

এছাড়া ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সেরা শিক্ষার্থী হয়েছেন জয়নাল আবেদীন নামে এক শিক্ষার্থী।

শিক্ষিকা জুলেখা বেগম বলেন, সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় চলে আসছে মাদ্রাসাটি। বেতন-ভাতা অনেক মাসের বাকি রয়েছে। তারপরও এলাকা শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে অনবরত যাত্রা।

তিনি আরও বলেন, সকলে এগিয়ে আসলে মাদ্রাসাটি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদেক হোছন বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বসার পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই। তাছাড়া ভবন সংকটের কারণে একই রুমে দুই ক্লাসের পড়ালেখা একসাথে নেয় শিক্ষকরা। এতে পড়ালেখায় বিঘ্ন হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচন্ড গরমে ক্লাস করা অসহনীয় হয়ে উঠে।

ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম জানান, এলাকার সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় এগিয়ে যাচ্ছে মাদ্রাসাটি। ইতিমধ্যে পুরাতন টিনসেট ও বাঁশের বেড়ার ঘরটি সংস্কার করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও সহযোগীতার ধারা অব্যাহত থাকবে।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, মাদরাসাটির অবকাঠামোগত সমস্যা নিরসণে ২০১০ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে দুই কক্ষ বিশিষ্ট টিন সেডের একটি ঘর নির্মিত হলেও ক্লাস ও শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় এক রুমেই দুইটি ক্লাস একসাথে নিতে হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাঘাত হচ্ছে।

মাদ্রাসা সুপার মাওলানা জহিরুল হক বলেন, মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে শিক্ষক, শ্রেণী কক্ষ, বেঞ্চ ও খেলার মাঠ সংকট রয়েছে। দাখিল ১০ শ্রেণি পর্যন্ত খোলার সম্ভাবনা থাকলেও ভবন ও শিক্ষক সংকটের কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মাদ্রাসাটির ইবতেদায়ী শাখা জাতীয়করণের তালিকায় প্রথমদিকে রয়েছে। তিনি মাদ্রাসাটির স্বীকৃতি, দাখিল পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি পেতে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন।

Exit mobile version