ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দাতাদের বিচারের দাবি ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর


কক্সবাজার ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আফিফা জান্নাত জানান, আমাকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি
দিয়েছেন। তিনি জানন, আছিয়ার মত হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রণা পরিণতির আগেই প্রকাশ্যে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দাতাদের বিচার দাবি করলেন ভিকটিম স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবার।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা পাবলিক হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভিকটিম ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আফিফা জান্নাত বলেন, তার পরিবারের সাথে উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের উত্তর লরাবাগের প্রতিবেশী আহসান উল্লাহ গংয়ের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
বিরোধ নিরসনে দেশীয় আইন-কানুন কিংবা সামাজিক বিচার আচার রয়েছে।কিন্তু প্রতিপক্ষ তার মৃত পিতার অনুপস্থিতিতে আইনের তোয়াক্কা না করে তার সদস্যদের অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে দীর্ঘদিন।
এমনকি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আহসান উল্লাহ গং এর শাহাব উদ্দিন ও তার দুই ছেলে তুষার ও জাহেদ তাদের অমানবিক মারধর করে । এতেও ক্ষান্ত না হয়ে আহাছান উল্লাহ, সাহাব উদ্দিন, তার দুই ছেলে,শাদ উল্লাহ মিস্ত্রীসহ আরো কয়েকজন প্রকাশ্যে এলাকার লোকজনদেরকে তাদেরকে ধর্ষণ এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ বিগত দুই দিন আগে একটি অনলাইন প্লাটফর্মে তার বিধবা মা এবং তাকে নিয়ে তার পিতার পরিচয় উল্লেখ করে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার ভিডিও আকারে প্রচার করেন।এ অপপ্রচারের পর পরিবারের নারী সদস্যরা কোথাও মুখ দেখাতে পারছে না লোক লজ্জার ভয়ে।
শিক্ষার্থী আফিফা আরো জানান, তার স্বাভাবিক পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারছেন না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পড়ালেখার উদ্দেশ্যে বের হলে তার স্বজন, সহকর্মী এবং পরিচিতরা নানা প্রশ্নবাণে তাকে জর্জরিত করছেন। এমতাবস্থায় যদি অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে তারা ধর্ষণ কিংবা হত্যার শিকার হতে পারেন।
এমতাবস্থায় সুবিচার না পেলে তাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।
তাই তাদের পরিণতি শিশু আছিয়ার মত না হওয়ার আগেই সাংবাদিকদের মাধ্যমে সমাজ ও প্রশাসনের নিকট এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ভিকটিমের মা শাহেনা আক্তার ও আসমাউল হুসনা। উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য আমিনা আক্তার ,সাবরিনা ইউনুছ,রাবেয়া বসরী ও শারমিন সোলতানা প্রমুখ।