parbattanews

ধাওয়া ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে খাগড়াছড়িতে পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, চলছে গণনা

আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা।

দুপুর সোয়া ২টার দিকে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম উপস্থিত হলে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ভোটের আগের রাত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে।

অপর দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা চেষ্টা করেছেন।

অন্যদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো: ইব্রাহিম খলিল বলেন, ভোটাররা আতংকের মধ্যে ভোট দিয়েছে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভায় সকাল ৮টায় উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১৮ ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। ভোটকেন্দ্রে মানুষের ঢল নামে। তবে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি।

পৌরসভায় সব ক’টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ভোটারবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। র‌্যাব ও বিজিবি’র স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিলো। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সাথে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয় পুরো শহর। এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৭ জন। নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭ শ ৩৬ জন এবং পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৩ শ ৫১ জন।

Exit mobile version