ঈদগাঁও নদী দখল করে বহুতল ভবন! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব

fec-image

কক্সবাজার সদরের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও নদী দখল করে তার উপর নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। ঈদগাঁও বাসষ্টেশনের দক্ষিণ -পশ্চিমে নদী এলাকা দখল করে এ ভবন তৈরি করছে জনৈক সিরাজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাস ষ্টেশন- ঈদগাঁও বাজার সংযোগ সড়কের চাউল ব্যবসায়ী সিরাজ তার দোকানের পিছনের নদী দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। তীর দখলের পর নদীর মূল স্রোতধারার কাছেই ভবনের বিশাল সব পিলার স্থাপন করে নির্মিত হচ্ছে এ দালান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শীতকালে নদীতে স্রোত না থাকার সুযোগে প্রথমে পলিথিনের ঘেরা দিয়ে নদী এলাকা দখল নেয় সিরাজ। এরপর পাইলিং করে ভবণ নির্মাণ কাজ শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, নদী দখল করে উক্ত ভবন নির্মানের ফলে বর্ষায় নদীর মূল স্রোতধারা বাধা পেলে দুই পার্শ্বে নদী ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। এতে উভয় তীরের সরকারি বেসরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অবৈধ উক্ত ভবনের আনুমানিক ১০০গজ পূর্বেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও ব্রীজের অবস্থান।

নদীর স্রোতধারা পরিবর্তন হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ঈদগাঁও ব্রীজ ও মহাসড়কের অংশবিশেষ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে সচেতনরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, অবৈধ এসব ভবনের ফলে প্রতি বর্ষায় বন্যার পানিতে দফায় দফায় ঈদগাঁও বাজার প্লাবিত হওয়ার ফলে বাজারের কোটি কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়।

বৃহত্তর ঈদগাঁও পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদ সভাপতি হাফেজ নূরুল আলম বলেন, নদী দখল করে নির্মিত এসব স্থাপনার ফলে পরিবেশ প্রকৃতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
বাংলাদেশের নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ বলেন, নদী দখল ও পরিবেশ প্রকৃতির ক্ষতি করে কোন স্থাপনা হতে পারেনা। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ঈদগাঁও নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সিরাজ। তবে এ ব্যপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আকতার সুইটি বলেন, নদী দখল করে অবৈধ ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন