parbattanews

নদ-নদীর প্রাঁণ রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান

পার্বত্য এলাকার নদীগুলোর সুরক্ষায় মানুষকে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষে বান্দরবানে শুরু হয়েছে নদী রক্ষা সম্মিলন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় শহরের হিলভিউ কনভেনশন সেন্টারে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

এর আগে সকালে তিনি নদী পরিব্রাজক দলের প্রায় দেড়শতাধিক সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সাঙ্গু নদীর তীরের বেশ কিছু অংশ ইঞ্জিল চালিত নৌকা যোগে পরিদর্শণ করেন।

পরে বেলা বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া মূল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

নদী রক্ষা সম্মিলনে সারাদেশের বিভিন্ন নদ-নদী ছাড়াও বান্দরবানের নদীগুলো থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন, নদীর পাড় ভাঙ্গণ, নদীর পাড়ে তামাক চাষ এবং অবৈধ দখলের চিত্র তুলে ধরা হয়।

সম্মেলনে নদ নদী নিয়ে নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান সম্মিলনে সভাপতিত্ব করেন।

সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ২শ’ ৫০জন নদী পরিব্রাজক দলের সদস্যবৃন্দ ও স্কাউট সদস্যরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষনিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, মনিরুজ্জামান, মালিক ফিদা আব্দুল্লাহ খান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম,
বান্দরবান সেনাবাহিনীর জি টু মেজর ইফতেখার, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবণ কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক নয়ন শীল, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি ও প্রধান গবেষক মনির হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মনয়কারী রোটারিয়ান আসিফ আহমেদ মৃধা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তারা বলেন, পাহাড় থেকে নদীর জন্মভূমি। এই নদী ভাবনা নিয়ে আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু করতে হবে। কিন্তু আজ আমরা নদীর গলা চেপে ধরেছি। পাথর উত্তোলনের কারনে জেলার প্রায় ৪শ’ ঝিরি-ঝর্ণা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাহাড়িদের তামাক চাষে বাধ্য করা হচ্ছে। সচেতন লোকরাই এই ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। কিন্তু আগামী প্রজম্মের জন্য আমরা চিন্তা করছি না। তাই এই সম্মেলনের পর থেকে আন্তজাতিক আইনের সাথে মিলিয়ে নদীর প্রাণ রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

Exit mobile version