নবাগত ১৪ রোহিঙ্গা আটক, পালিয়ে গেছে ৮ জন


কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে নতুন করে আরও ২২ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকালে টেকনাফ পৌর শহরের আবু ছিদ্দিক মার্কেট এলাকায় তাদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
আটক রোহিঙ্গারা জানান, তারা মিয়ানমারের বুচিডং শহরের লম্বাবিল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্য। ১৪ জনের মধ্যে ২ জন নারী, ২ জন পুরুষ এবং ১০ জন শিশু রয়েছে।
রোহিঙ্গারা জানান, তারা নৌকাযোগে সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর হয়ে টেকনাফ সদরের মহেশখালীয়াপাড়া উপকূলে পৌঁছায়। নৌকায় মোট ২২ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে ৮ জন নৌকা থেকে নেমে অন্যত্র পালিয়ে যান। বাকি ১৪ জন অটোরিকশা করে টেকনাফ বাসস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেন এবং আবু ছিদ্দিক মার্কেট এলাকায় আশ্রয় নেন।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ওই এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের আটকের পর বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অবহিত করেন। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের হেফাজতে নেন।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, ১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই চলছে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পালিয়ে যাওয়া ৮ রোহিঙ্গার সন্ধানে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে বলে জানা গেছে।