parbattanews

নভেম্বরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার দাবি

Rangamati pic (4) (1) copy

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নির্যাতিত ও নিপীড়িত পার্বত্যবাসীর নেতৃবৃন্দ। রবিবার দুপুরে এক মহাসমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। রাঙামাটির রাজবাড়ির জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রশাসন যদি অবৈধ অস্ত্রধারীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তবে পার্বত্যবাসী নিজেরাই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি নূর জাহানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না। এতে বক্তব্য রাখেন, রূপ কুমার চাকমা, লাল এংলিয়ান পাংখোয়া, নূরেন পাংখোয়া, মো. জালোয়া, মোর্শেদা আক্তার, সোহেল রিগ্যান, আলমগীর হোসেন, বারেক শেখ, জাহাঙ্গীর কামাল, এডভোকেট আবছার আলী, নাজমা বেগমসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

জুরাছড়ি উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রূপ কুমার চাকমা বলেন, সন্তু লারমা জেএসএস আমার বাবাকে হত্যা করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন কোন পরিবার নেই, এমন কোন মানুষ নেই, যারা জনসংহতি সমিতির দ্বারা নির্যাযিত হয়নি।

তিনি বলেন, এসব নির্যাতনের সময় মানবাধিকার কমিশন কোথায় থাকেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম মুন্না বলেন, সারাদেশে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলেও পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

এসময় তিনি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সময়সীমা বেঁধে দেন।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি হলেও পাহাড়ে এখনও শান্তি ফিরে আসেনি। আগে যেখানে একটি দলকে চাঁদা দিতে হতো, এখন সেখানে তিনটি দলকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। চুক্তির ফলে অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা বললেও পাহাড়ে এখনও হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। যে অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ চলছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ছাড়া পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে না বলে বক্তারা মন্তব্য করেন। সমাবেশের পূর্বে রাঙামাটি পৌর প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মহাসমাবেশে যোগদান করে।

Exit mobile version