নাইক্ষ্যংছড়িতে আওয়ামীলীগ সভাপতির ভরাডুবি! চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল

fec-image

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ’র সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ’র ভরাডুবি হয়েছে। এ নির্বাচনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ও মোটর সাইকেল প্রতীকে সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ তোফাইল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।তবে শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ শফিউল্লাহকে ৩৭৬৫ ভোটের বিশাল ব্যবধানে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তোফাইল আহমেদ।

সরজমিনে দেখা গেছে, ২১ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২৬টি কেন্দ্রে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভোট কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়। প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল কঠোর অবস্থানে। কেন্দ্র ভিত্তিক কোন প্রার্থীর সমর্থক বা কর্মীরা কৌশল অবলম্বন করলেই পড়তে হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’র কাছে জবাবদিহি।নির্বাচনকে ঘিরে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়।

সকল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা ঠিক ৪টায় ভোট গ্রহণ বন্ধ পরবর্তী কেন্দ্রে প্রার্থীর নির্ধারিত এজেন্ট, পোলিং, পুলিশ, আনসার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শুরু করে।কেন্দ্র ভিত্তিক বাইরে বিজয়ের হাসি কে হাসবে দেখার অপেক্ষায় ছিল হাজারও জনগণ। শেষ পর্যন্ত মোটরসাইকেল প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তোফাইল আহমেদ’র কাছে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্ভয়ে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে। নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর ছিল বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে অধ্যাপক মোহাম্মদ তোফাইল’র প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ১৯৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৩১ ভোট। তাছাড়া পুুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসবে কামাল উদ্দন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসবে সানজিদা আকতার রুনা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, নাইক্ষ্যংছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন