নাইক্ষ্যংছড়িতে বসতভিটা নিয়ে বিরোধের জেরে ছেলে নিহত, বাবা আহত

বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে জামাল উদ্দিন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা গুরুতর আহত হয়েছে।

রবিবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক জামাল উদ্দিন (২৭) ওই এলাকার আবুল কালামের ছেলে। নিহত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী সন্তান-সম্ভবা বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায়

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জলপাইতলী এলাকার আবদুল হাকিম ও আবুল কালামের মধ্যে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। এর জেরে ১১ আগস্ট দিনের বেলায় আবুল কালামের বসতভিটার অংশে আবদুল হাকিমের পরিবার বেড়া ও সীমানা খুটি স্থাপন করে। পরে রাত বারোটার দিকে আবুল কালামের ছেলে জামাল উদ্দিন বাড়িতে ফিরলে বাবা-মা, স্ত্রী তাদের জায়গা দখল করে সীমানা খুটি স্থাপন ও ঘেরাবেড়া দেওয়ার কথা জানান ছেলে জামাল উদ্দিনকে। এ কথা শুনে জামাল উদ্দিন তাদের দখল করা বসতভিটির অংশ দেখতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঘটনাস্থলে যান। ওই সময় আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা আবদুল হাকিম ও তার ছেলে আফলাতুন কায়সার কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জামাল উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এসময় জামাল উদ্দিনের শোরচিৎকারে তার বাবা আবুল কালাম এগিয়ে গেলে তাকেও বেদম পিঠিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। ওই সময় প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বজন মাওলানা এনামুল হক ও মো. ছৈয়দুল জানান, জামাল উদ্দিন ও তার বাবা আবুল কালামকে আবদুল হাকিম ও ছেলে আফলাতুন কায়সারসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক কুপিয়েছে জখম করে। এতে জামাল উদ্দিনের মৃত্যু হয় এবং তার বাবার কালামও গুরুতর আহত হয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা খবর দিলে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) পাবেল মল্লিক।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, ঘুমধুমে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ঘাতকদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ সংক্রান্তে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।